লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে একটি নদীভাঙ্গা পরিবারের টিনের ঘরে আগুন লেগে ঘর ও ঘরের আসবাবপত্র সহ সব জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।ঘরে থাকা ধান, চাল, টাকা স্বর্ণালংকারসহ পরিবারের মূল্যবান জিনিসপত্র ও আসবাবপত্র কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এতে অন্তত ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।এই অবস্থায় বিমর্ষ হয়ে ভেঙ্গে পড়েছে নদীভাঙ্গা ওই জেলে পরিবারটি।
শনিবার গভীর রাতে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কালাম ফরাজি বাড়ির আবুল কাশেম হেজু মাঝির বসতঘরে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,ভুক্তভোগী আবুল কাশেম পেশায় একজন জেলে।নদীতে মাছ ধরে কোনোরকম জীবন নির্বাহ করেন। কয়েকবছর আগে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে জমি ও ঘর বাড়ি হারিয়ে শশুর বাড়িতে আশ্রয় নেন।পরে ওই বাড়িতে টিনের ঘর উত্তোলন করে সেই ঘরে বসবাস করতে থাকেন।শনিবার গভীর রাতে হঠাৎ করে ঘরে আগুন লেগে যায়।এতে ঘর ও ঘরে থাকা ৩০ মণ ধান,১০ মণ চাল, একটি সেলাই মেশিন,১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা সহ সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়।
ভুক্তভোগীর শ্বশুর আবুল কালাম ফরাজি অভিযোগ করে বলেন,ঘরে আগুন লাগার পরে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে।প্রতিবেশীরা সহ চেষ্টা করে কিছু করতে পারিনি।সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী জেলে আবুল কাশেম বলেন, নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে জমি কিনার সামর্থ্য না থাকায় শ্বশুর বাড়ি তে দু'চালা টিনের ঘর উত্তোলন করে কোনোরকম জীবন যাপন করি।আগুনে আমি শেষ হয়ে গেছি।নিঃস্ব হয়ে গেছি।
আমার পৃথিবী অন্ধকার হয়ে গেছে। এ সময় চার সন্তানসহ কিভাবে বাঁচবো বলে তিনি ও তার স্ত্রী কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন অফিসার আবদুল মজিদ বলেন,এ ধরণের কোনো তথ্য পাইনি।তথ্য পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেত।