চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ১১ ব্যাটারের মধ্যে ৬ জনই হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। এরমধ্যে দুজন তো সেঞ্চুরির খুব কাছেই গিয়েছিলেন। সেই পিচেই প্রথম ইনিংসে দুশোর আগে অলআউট হলো বাংলাদেশ। টাইগারদের এই ব্যর্থতা কেন, একদিন ব্যবধানে ‘ব্যাটিং স্বর্গ’ থেকে পিচ কি বোলার বান্ধব হয়ে গেল।
সোমবার (১ এপ্রিল) ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৭৮ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন জাকির হাসান।
নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলামকে নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিলেন ওপেনার জাকির হাসান। ২৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন তিনি। প্রথম সেশনের শেষ দিকে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এরপর আউট হন বিশ্ব ফার্নান্দোর দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে। ৯৭ বলে ফিফটি পূরণ করেন জাকির। ফার্নান্দোজে চার মেরেই ব্যাট উঁচিয়ে ধরেন তিনি।
ফিফটি করার পর খুব বেশিক্ষণ দৃঢ়তা ধরে রাখতে পারেননি জাকির। ৭ বল মোকাবিলায় আর মাত্র ১ রান করে বিদায় নেন তিনি। অফ স্টাম্প ধেয়ে আসা ফার্নান্দোর সুইং বলটি ঢুকে যায় লেগ স্টাম্পের দিকে। উদ্যাপন শুরু হয় লঙ্কা শিবিরে। জাকির হাসান ফিফটি (৫৩) করে মাঠ ছাড়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়ক মিনিট কয়েকের বেশি টিকতে পারেননি, বিদায় নেন দিমুথ করুনারত্নেকে ক্যাচ দিয়ে। ২ মিনিট পর বিদায় নেন তাইজুল ইসলামও।
প্রবাথ জয়াসুরিয়ার ওভারে শর্ট মিডউইকেটে করুনারত্নেকে ক্যাচ দেন শান্ত। ১১ বলে তিনি করেন মাত্র ১ রান। প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছিল যথাক্রমে ৫ ও ৬ রান। শান্ত মাঠ ছাড়ার পর মুমিনুল হক ২টি ও তাইজুল ৩টি বল ফেস করেন। পরের বলেই বিদায় নেন তাইজুল। ৬১ বলে ২২ রান করেন তিনি।
১৫ রানে ব্যাট করা অবস্থায় আসিথা ফার্নান্দোর ওভারে আম্পায়ার সাকিব আল হাসানকে আউট দেন, রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। তিনি মাঠ ছাড়ার পর লিটন কুমার দাস ৩ বল মোকাবিলা করেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন। ক্রিজে এসে প্রথম বলটি ডট খেলেন লিটন, দ্বিতীয় বলে হাঁকান চার। পরের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।