টাইগার পাস ও পোলো গ্রাউন্ড সড়কে শতবর্ষী বৃক্ষ নিধন ও জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস করে র্যাম্প নির্মাণ কাজ সাময়িক স্থগিত করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সিডিএ এর সম্মেলন কক্ষে নাগরিক সমাজ চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান ড. অনুপম সেন'র নেতৃত্বে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় টাইগার পাসে কোন শতবর্ষী গাছ কাটা হবে না বলে জানান সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ। প্রাকৃতিক দ্বিতল সড়কটিতে র্যাম্প নির্মাণের বিষয় সকলের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। তত দিন পর্যন্ত টাইগার পাস - পোলো গ্রাউন্ড দ্বিতল সড়কে কোন গাছ কাটা ও নির্মাণ কাজ করা হবে না বলেও জানান তিনি ৷
এর আগে সিডিএ চেয়ারম্যানের সাথে মতবিনিময় কালে নাগরিক সমাজ চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান, দেশ বরেণ্য সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেন, “টাইগার পাস দ্বিতল সড়কটি শুধু একটি সড়কই নয়, এর সাথে চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবি এলাকার জীব বৈচিত্রের সাথে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এমন একটি সড়কে কোন ভাবেই র্যাম্প নির্মাণ গ্রহণযোগ্য নয়। মাত্র ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ১৪টি র্যাম্প নির্মাণে বিস্ময় প্রকাশ করে সার্বিক বিষয় সিডিএ চেয়ারম্যানকে পুনবিবেচনার অনুরোধ জানান।
সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান কোন শতবর্ষী কাজ কাটা হবে না বলে উল্লেখ করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান টাইগার পাস দিয়ে উঠার র্যাম্পটির নকশা প্রদর্শন করবেন বলে জানালেও প্রকল্প পরিচালক এই মুহূর্তে নকশাটি প্রদর্শন না করে পরবর্তীতে সকলের সাথে আবার আলাপ আলোচনা ও পরামর্শ সাপেক্ষে নতুন নকশা প্রস্তুত করে সবার সামনে উপস্থাপন করবেন বলেন জানান।
এসময় সিডিএ'র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস টাইগার পাসের প্রাকৃতিক দ্বিতল সড়কটি সিডিএ নির্মাণ করেছিল মর্মে মন্তব্য করলে সভায় উপস্থিত সকলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় ড. অনুপম সেন সকলকে শান্ত করে প্রধান প্রকৌশলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি ৮০ ঊর্ধ্ব একজন মানুষ। এই প্রাকৃতিক সড়কটি আমর জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি। এটি কোন ভাবেই সিডিএ নির্মাণ করেনি। সিডিএ'র জন্মের আরো আগেই সড়কটি নির্মিত হয়েছে।
সভার শুরুতে নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুল টাইগার পাসের বৃক্ষ নিধন করে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ চট্টগ্রাম বাসি মেনে নেবেনা বলে জানান।
সভায় আগামী ঈদের পর এই বিষয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান সবার সাথে আবারো মতবিনিময় করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান। চট্টগ্রামবাসীর স্বার্থবিরোধী কোন কাজ সিডিএ করবে বলেও তিনি জানান। এসময় নাগরিক সমাজ চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।