আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র নারী প্রার্থী চা শ্রমিক কন্যা ও চা নেত্রী গীতা রান কানু। তিনি গত চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে কমলগঞ্জের বিপুল ভোট পেয়েও নির্বাচিত হতে পারেননি। তারপরও গত ৮/১০ বছরে চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবী আদায়ে মাঠে থেকে গীতা রান কানু ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।
আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন্। ঘোড়া প্রতীক পেয়ে তিনি এখন একাই ঘাটে মাঠে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত।
সরেজমিন কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী গীতা রানী কানু চা বাগান এলাকায় ও প্লান্টেশন হাত মাইক নিয়ে তার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন বিভিন্ন হাট বাজার চৌমুহনী চত্বরে। নারী চা শ্রমিকদের তিনি বলেছেন বিগত কয়েক বছর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবী আদায়ে তাদের পাশে ছিলেন। এখন চা শ্রমকিরা ভোট দিয়ে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলে উপজেলা পরিষদ থেকে চা শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে পারবেন।
গতকাল শনিবার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ৪টায় দেখা যায় গীতা রানী কানু শমশেরনগর বাজারে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাকের সামনে রাস্তায় সিএনজি অটো রিক্সা দাঁড় করিয়ে আসন্ন নির্বাচনে তার প্রতীক ঘোড়া মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন।
তিনি বলেন, কমলগঞ্জবাসী জানে তিনি সব সময় দুর্ণীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এখনও দুর্ণীতির বিরুদ্ধে আছেন। সুতরাং ঘোড়া প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলে উপজেলা পরিষদে অন্তত দুর্ণীতিবাজরা আর দুর্ণীতি করতে সাহস পাবে না।