দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে রেখেছিলেন পুরো পরিস্থিতি।
প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঘুর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের খোঁজ-খবর নিতে এসেছি।
তিনি আজ বুধবার (২৯ মে) দুপুরে কয়রা কপোতাক্ষ কলেজ মিলনায়তনে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলায় ‘রেমাল’ কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় সরকার সার্বিকভাবে প্রস্তুত ছিলো। আঘাত হানার পূর্বে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্যোগ সহনীয় জাতি গঠনে কাজ করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণ ছাড়াও ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে আমাদের নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের কোনো হাত নেই, কিন্তু আমরা যদি পূর্ব প্রস্তুুতি গ্রহণ করতে পারি, তাহলে এসব দুর্যোগ মোকাবিলা করে টিকে থাকা আমাদের জন্য অনেক সহজ হবে। আর শেখ হাসিনার সরকার সে কাজটাই করে যাচ্ছে। তিনি বলেন উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্ণাঙ্গ সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় স্থানীয় এমপি কয়রা উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিবেদন প্রতিমন্ত্রীর হাতে তুলে দিলে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী৷ এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম তারিক উজ জামান এর সভাপতিত্বে ও কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন খুলনা-৬, (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান । তিনি বলেন, ঘুণিঝড় রেমালে দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বহুমানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এখনো অনেক জায়গায় বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে সে সকল বেড়িবাঁধ মেরামত করা না হলে বাঁধ ভেঙ্গে আবারও এলাকা প্লাবিত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি টেকসই বেড়িবাঁধ। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাধ নির্মাণের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন ভোলা-৪, আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্যাহ আল ইসলাম জ্যাকব। অন্যন্যাদের মধ্যে বক্তৃতা করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণলয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) মো. সাইফুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্যাহ আল মাহমুদ,এসএম বাহারুল ইসলাম, প্রভাষক শাহনেওয়াজ শিকারি,সর্দার নুরুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ গাজি, জিয়াউর রহমান জুয়েল, মোড়ল আছের আলী প্রমুখ ।