ঈশ্বরদীতে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সুমনা খাতুন (১৮) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল ৩১ মে শুক্রবার সকালে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুরে সুমনার শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সুমনা খাতুন মহাদেবপুর গ্রামের সম্রাটের স্ত্রী ও ঈশ্বরদী শহরের ইস্তা এলাকার সুজন হোসেনের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী, শ্বশুর পলাতক রয়েছেন। সুমনা দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
জানা গেছে, প্রায় আট মাস আগে ঈশ্বরদীর মহাদেবপুর গ্রামের সম্রাট হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় সুমনার। বিয়ের সময় সম্রাটের পরিবার তার আগের একটি বিয়ের কথা গোপন করে। এ বিষয়ে কথা বলায় শাশুড়ি ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যরা তার ওপর নির্যাতন চালাতো। এরপর শুক্রবার সকালে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে সুমনার পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।