টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার গোবিন্দাসী এলাকায় ঘটে।
সোমবার (০৩ জুন) বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত উপজেলার গোবিন্দাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে কোনার মধ্যে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। মেয়েটি গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এঘটনায় ধর্ষণকারী সুলতান মিয়া (২৪) ও সহযোগী নুরনবী (২২) কে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
মেয়েটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার দুপুরে ১ টার দিকে বিদ্যালয়ে যায়। বিকেল ৪ টার পর বিদ্যালয় ছুটির পর ঘড়ি মেরামত করতে গোবিন্দাসী বাজারে যায় মেয়েটি। সেখান থেকে ফেরার পথে বখাটে সুলতান জোর করে গোবিন্দাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলম মাষ্টারের প্রাইভেট পড়ানোর রুমের দিকে কোনার মধ্যে নিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরে রাত ৯ টার সময় তাকে জনসম্মুখে নিয়ে আসলে এলাকাবাসী তাকে রক্ষা করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। তবে ধর্ষণকারী ও তার সহযোগী পালিয়ে যায়।
মেয়েটির বাবা জানান, আমার মেয়ে দুপুর ১ টার দিকে স্কুলে যায়। বিকেল ৪ টার দিকে স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে না আসায় বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করি। কোথাও খুঁজে পেয়ে চিন্তায় পড়ে যাই। পরে রাত ৯ টার দিকে আমার ভাতিজার বন্ধুর সহায়তায় বাড়িতে ফিরে আসে। পরে তার কাছে জানতে পারি চর অলোয়া আমতলা এলাকার হাছেন শেখের ছেলে নুরনবীর সহযোগিতায় গোবিন্দাসী পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে বখাটে সুলতান মিয়া তাকে অমানবিক নির্যাতন করে। তিনি আরও জানান- আমার মেয়ের সাথে যারা অমানবিক নির্যাতন করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।
এলাকাবাসী জানান মেয়েটি ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। এই নাবালক মেয়েটির সাথে জঘন্যতম নির্যাতন করা হয়েছে। এই নির্যাতনের সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি যেন, এইরকম জঘন্য কাজ কেউ আর না করতে পারে।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান এই ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। এঘটনায় এঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।