রাজধানীর গুলশান থানাধীন বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে কর্তব্যরত কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম গুলি করে হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মেট্রোপলটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কাওছার আলী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করছে তাঁর পরিবার। সবকিছু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদরদপ্তর জানে বলেও দাবি করে তাঁর পরিবার। যদিও ডিএমপি বলছে, এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি পরিবারের পক্ষ থেকে।
ঘটনার দিন পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, তদন্তের আগে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। যদিও কাওছারের পরিবার দাবি করছে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন তিনি, সেবন করতেন মাদকও।
ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলছেন, কাওছারের মানসিক ভারসাম্যের তথ্য জানত না ডিএমপি। ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়ে কাওছার বিরক্ত ছিল বলে রিমান্ডে জানিয়েছেন তিনি। তবে তদন্তেই বের হয়ে আসবে এই ঘটনার মূল কারণ।
সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক বলেন, কাওছারের মানসিক সমস্যার কথা সদর দপ্তরে জানিয়েছিল কিনা সেটি তদন্ত করতে হবে।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কাওছার আলী ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর পুলিশে যোগদান করেন। গত ২৩ মাস ধরে কাজ করছিলেন গুলশানের ডিপ্লোম্যাটিক জোনে।