একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও দলীয় কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাদের মারধরের অভিযোগে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলকের নামে নাটোরের সিংড়া থানায় ২টি মামলা হয়েছে। বিএনপি ও যুবদলের ২ নেতা মামলা ২টির বাদী।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে পৃথক ২টি মামলা করেন বিএনপি ও যুবদলের ২ নেতা। উপজেলার ১২নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে সিংড়া থানায় একটি মারধরের মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। পলক ছাড়াও ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩০-৪০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।
মারধরের অভিযোগে অপর মামলা করেন রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল হোসেন। এ মামলাতেও প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলককে। পলক ছাড়াও ২৭ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
পলক ছাড়াও ২ মামলায় আসামি করা হয়েছে রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিস আলী, সাধারণ সম্পাদক মুকুল হোসেনকে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে কৈগ্রাম এলাকায় ৩০/৪০ জন দেশীয় ও আগ্নীয় অস্ত্রসহ মোটরসাইকেল এবং ভ্যানযোগে এসে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এ সময় লোহার রড দিয়ে বিএনপি নেতাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। বাদীর একটি মুঠোফোন ছিনতাই করে ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মুকুল হোসেন। মামলা করলে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয় আসামিরা।
অপর মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের এজেন্ট থাকায় অবস্থায় বাদোপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে মারপিট, মুঠোফোন ও নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন যুবদল নেতা শিমুল হোসেন। পরেরদিন উপজেলার হরিণী তিন মাথা মোড়ে এসে বিবাদীকে রক্তাক্ত করে আসামীরা।
সিংড়া থানার ওসি আবুল কালাম মামলা দুটির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক ২টি মামলা হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।