গাজীপুরের টঙ্গীতে ১৩ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত এ্যামট্রানেট গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ভিলেজ এক্সপোর্ট গার্মেন্টস লিঃ ও ব্রাভো অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে দুইটি পোষাক কারকানার শ্রমিকরা জয়দেবপুর- টঙ্গী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটা থেকে জয়দেবপুর-টঙ্গী সড়কটি অবরোধ করে রেখেছিল তারা। যেটা দুপুর ১ টা পর্যন্ত ছিল।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, রোববারও আমরা আমাদের ১৩ দফা দাবি নিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। এক পর্যায়ে আলোচনা হলেও দাবিগুলো মানা হয়নি। আজও আমরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ পালন করছি। আমাদের দাবিগুলো মানা না হলে কোন শ্রমিক কর্মচারী কাজে যোগ দেবে না এবং আজকের মধ্যে আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেবো।
সরেজমিন দেখা যায়, টঙ্গী মেঘনা রোডের এমট্রানেট গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ভিলেজ এক্সপোর্ট গার্মেন্টস ও ব্রাভো এপারেলস লিমিটেডের প্রায় তিন হাজার শ্রমিক ও কমচারী বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ ১৩ দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। সকাল আটটা থেকে দ্বিতীয় দিনের মত তারা টঙ্গী জয়দেবপুর শাখা সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করছে।
দাবিগুলো হলো, প্রতি মাসের ৩-৭ তারিখের মধ্যে সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন প্রদান করা, সকল শ্রমিক ও স্টাফদের হাজিরা বোনাস ১ হাজার টাকা দিতে হবে, সকল শ্রমিক ও স্টাফদের বেতন ১৫% বৃদ্ধি করতে হবে, সকল শ্রমিক স্টাফদের বাৎসরিক ১৮ দিনের ছুটির টাকা দিতে হবে, সকল শ্রমিক ও স্টাফদের সার্ভিস বিল প্রদান করতে হবে, সকল শ্রমিক স্টাফদের টিফিন বিল ৫০ টাকা ও নাইট বিল ২০০ টাকা দিতে হবে, ৬ মাসে ঈদ বোনাস দিতে হবে, গর্ভবতী মেয়েদের জন্য ৪ মাসের ছুটি ও ছুটির টাকা আগে প্রদান করে কাজে পুনরায় যোগদান করতে দিতে হবে, আন্দোলনকারী কোন শ্রমিক কর্মচারীকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা যাবে না, কোন শ্রমিকের সাথে খারাপ আচরণ করা যাবে না, উৎসবজনিত ছুটি ১২ দিনের করতে হবে, কোন শ্রমিক বা স্টাফদের বের করে দেয়া হলে ৩ মাস ১৩ দিনের বেতন ও সার্ভিস বিল দিতে হবে ও ছুটির দিন যদি কোন স্টাফ ডিউটি করে তাকে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
এ বিষয়ে গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেজ লিমিটেডের জিএম সুজন মিয়াকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, শ্রমিকদের দাবিগুলো নিয়ে মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে।