বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও কুষ্টিয়ার শীর্ষ চাল ব্যবসায়ী আবদুর রশিদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার রাতে তাকে আদালতে নেওয়া হলে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে একই দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কুষ্টিয়া শহর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে প্রতারণার একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল।
জানতে চাইলে রোববার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে কুষ্টিয়ার জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুর রহিম বলেন, তিনি (রশিদ) কারাগারে আছেন। জামিনের কোন কাগজপত্র জেলখানায় আসেনি। তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কুষ্টিয়া আদালতের পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শনিবার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ আবদুর রশিদকে আদালতে নেয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। রোববার তাঁর পক্ষে কেউ জামিন ধরেছিল কিনা সঠিক জানা নেই। তবে জামিন আবেদন হয়েছিল বলে শোনা গেছে।
কুষ্টিয়া আদালতের আইনজীবী হাসানুল আসকার হাসু জানান, আবদুর রশিদকে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার পরোয়ানা আসামি হিসাবে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। চেক ডিজঅনার মামলা এদুটি। রোববার কুষ্টিয়া অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল আদালতে দু দুটি মামলার জামিন আবেদন করা হয়। আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর পুঠিয়া এলাকার এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা মামলার বিষয়টি হয়তো পরোয়ানাপত্র ফাইলে কোন ত্রুটি ছিল। সে কারণে আবদুর রশিদের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে তিনি কুষ্টিয়া আদালতে একটি আবেদন করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয় আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে তার একটি মামলা হয়েছে। এজন্য তাকে যেন কারাগারে রাখা হয়। এখন এই মামলায় জামিন নিতে হলে রাজশাহী আদালতে জামিন আবেদন করতে হবে। তার আগে আবদুর রশিদকে কারাগার থেকে মুক্ত করা যাবে না।
কুষ্টিয়া মডেল থানা সূত্র জানিয়েছিল, রাজশাহীর পুঠিয়া এলাকার ইনাম ফিড মিলের মালিক আতিকুর রহমানের সঙ্গে চাল ব্যবসায়ী আবদুর রশিদের ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। পাবনার ঈশ্বরদীতে আবদুর রশিদের ‘রশিদ ওয়েল মিলস লিমিটেড’ নামের একটি তেলের কারখানা আছে। ওই কারখানা থেকে ফিড মিলের কাঁচামাল কিনতে আবদুর রশিদকে চেকের মাধ্যমে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬৭ টাকা অগ্রিম দেন আতিকুর রহমান। টাকা নেওয়ার পর দেড় বছর ধরে মালামাল ও টাকা কোনোটাই দিচ্ছিলেন না আবদুর রশিদ।
২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট রাজশাহী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবদুর রশিদ ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসানকে আসামি করে মামলা করেন আতিকুর রহমান। সেই মামলায় সমন জারির পর আবদুর রশিদ হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন আদালত।