শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫
জনশক্তি রফতানিতে সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবি বায়রার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:২৪ PM
দেশের জনশক্তি রফতানিতে সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) এর সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট। সিন্ডিকেট ও টিকেট সিন্ডিকেট বন্ধ এবং সৌদি আরবে একক ভিসার ছাড়পত্রের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা।

আজ (সোমবার) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) এর সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্টের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্টের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বায়রার সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ মোস্তফা মাহমুদ, মোঃ গোলাম মোস্তফা, মোঃ মফিজ উদ্দিন, জাকিয়া ফেরদৌস, কাজী সাখাওয়াত হোসেন মোঃ সিরাজ মিয়াসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বক্তব্যে বায়রার সাবেক সভাপতি এম এ এইচ সেলিম বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচারী ও বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কিছু ভূলনীতি ও কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতিকারী, লোভী, অপরাধী ও ষড়ষন্ত্রকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই সেক্টরটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ ও ২০২২-২৪ সালে সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড শ্রী মোহাম্মদ আমিন, রহুল আমিন স্বপন, মোহাম্মদ নুর আলী মিলে প্রথমে ১০টি পরে ১০০ টি রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়ে একটি সিন্ডিকেট প্রতিষ্ঠা করে। এই সিন্ডিকেট সদস্যদের বাহিরে অন্য কোন রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়াতে কর্মী রফতানি করতে পারতো না। দুই পিরিয়ডে সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড ও তাদের সদস্যরা এই সেক্টর থেকে অতিরিক্ত আদায় করেছে প্রায় ১১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। স্বৈরাচারী সরকার এদের কোন বিচার করেনি, কারণ তাদের আশ্রয়ে, প্রশ্রয়ে ও প্রত্যক্ষ সমর্থনে সিন্ডিকেট হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ও তাদের কোন বিচার করেনি। এই বিচারহীনতার কারণে সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড আমিন, স্বপনেরা পুনরায় মালয়েশিয়াতে সিন্ডিকেট করে অভিবাসী কর্মী রফতানি করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে এই সিন্ডিকেট প্রথা ভেঙে দিয়ে প্রতিটি রুটে যৌক্তিক ভাড়া ও অভিবাসী কর্মীদের জন্য লেবার ফেয়ার চালু করার দাবি জানাচ্ছি। টিকেটের মূল্য বৃদ্ধি অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধি অন্যতম কারণ।’

এই সেক্টরে আরো অনেক সমস্যা আছে যেমন লাইসেন্সের শ্রেণীবিন্যাস, সাব এজেন্ট প্রথা বৈধ কারণ, জামানতের লভ্যাংশ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিককে না দিয়ে সরকার নিয়ে যাওয়া, বিএমইটি ও মন্ত্রনালয়ের দুর্নীতি তো আছে। সরকারের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু সরকারের কাজের ও নীতির পরিবর্তন এখনো হয়নি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক। এসব দাবিগুলো দ্রুত মেনে নেওয়ার জন্য আমরা সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। এসব দাবি মেনে নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি নেয়া হবে বলে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত