বৃহস্পতিবার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নগর পরিকল্পনা শাখা কর্তৃক ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় মিলেনিয়াম সিটি, শতরুপা হাউজিং ও মধু সিটি কর্তৃক টোটাইল ও ঘাটারচর মৌজাস্থিত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০২২-২০৩৫) তে মুখ্য জলস্রোত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত জলাশয়, কৃষিজমি, বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল (জলকেন্দ্রিক পার্ক) যা টোটাইল বিল নামে পরিচিত, ভরাট বন্ধকরণের নিমিত্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
উক্ত এলাকায় কৃষিজমি ও জলাধার রক্ষার স্বার্থে বেলা কর্তৃক মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশন দায়ের করা হয় যার আলোকে মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন গত ২৮ তারিখে উক্ত হাউজিং এর সকল কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা রায় প্রদান করেন।
মহামান্য হাইকোর্টের উক্ত রায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনাব মো. কামরুল ইসলাম, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ জনাব মোঃ আশরাফুল ইসলাম এর তত্ত্বাবধানে পরিচালক জনাব মোঃ হামিদুল ইসলাম (অঞ্চল ৫), উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ নবায়ন খীসা, মুস্তাফিজুর রহমান, রওনক জাহান, অথরাইজড অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান খান ও সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদগণ, সহকারী অথরাইজড অফিসার, কানুনগো, ইমারত পরিদর্শক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উক্ত উচ্ছেদ অভিযানে বিপুল সংখ্যক আইন শৃংখলা বাহিনীর উপস্থিতির পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তর, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণের সহয়তায় অভিযানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হয়।
উক্ত অভিযানে ৬ টি ভবন, একটি লোহার ব্রিজ ভেংগে ফেলা হয়েছে। এছাড়া আনুমানিক ৬০-৭০ টি তারবিহীন খালি বিদ্যুৎ খুটি অপসারন করা হয়েছে এবং ৬ টি মিটার জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া একটি ড্রেজার মেশিন ও একটি বুস্টার মেশিন ভেংগে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের অভ্যন্তরে ভরাটকৃত বালু উত্তোলন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন প্লটের সীমানা প্রাচীর ভেংগে দেওয়া হয়েছে।
ভবিষ্যতে ঢাকা শহরের অন্যান্য অবৈধ আবাসন প্রকল্প/বালু ভরাটকারী চক্র যারা পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে ঢাকা শহরের বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে , তাদের উদ্দেশ্যে সতর্কতামূলক বার্তা হিসেবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এরূপ অভিযান একটি অন্যতম উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে আশা করা যায় এবং আগামীতেও এরুপ অভিযান অব্যাহত থাকবে।