বোয়ালমারীতে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে এক্সকেভেটর দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ’ ভেঙে দিয়েছে কিছু মানুষ। তবে ঘটনাস্থলে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ভাঙচুরে অংশ নিতে দেখা যায়।
আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পৌরসদরের চৌরাস্তায় স্বাধীনতা চত্বরে নৌকায় বসা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল সংবলিত স্মৃতিস্তম্ভটি একটি এক্সকেভেটর (ভেকু) দিয়ে আংশিক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিক্ষুব্ধ জনতাদের উল্লাস করতে দেখা যায়।
ভাঙচুরের খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ কয়েকজন আওয়ামী লীগ বিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষুব্ধরা ভাঙচুর চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ভাঙচুরের নেতৃত্ব দেওয়া ‘জিয়া প্রজন্ম দল’ এর সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী জাকারিয়া বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ভাইদের রক্তের দাগ এ মাটিতে এখনও শুকায়নি। অথচ পালিয়ে যাওয়া খুনি হাসিনা ভারতের মাটিতে বসে এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এলাকার মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অনলাইনে ভাষণ দেওয়ার দুঃসাহসের প্রতিবাদে এই ভাঙচুর করা হয়েছে।’
উপজেলা ছাত্রদলের নেতা দাবি করে বোরহান হোসাইন বলেন, ‘আমরা এ দেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া শেকড় উপড়ে ফেলবো। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ছায়াও এ দেশে রাখবো না। যদি কোনও শক্তি ফ্যাসিস্টের পক্ষ নেয় তাকেও উপড়ে ফেলা হবে। আওয়ামী লীগের কোনও স্থাপনা দেশে রাখা হবে না। প্রয়োজনে আমরা লংমার্চ টু টুঙ্গিপাড়া কর্মসূচি নেবো।’
ভাঙচুরের সময় ঘটনাস্থলে যাওয়া থানার এসআই শরীফ আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থাপনাটি ভাঙচুরকালে প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্থাপনাটি ভাঙচুর নিবৃত করার চেষ্টা করি। সেখানে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধদের বাধা দিতে গেলে তারা (ভাঙচুরে অংশ নেওয়া লোকজন) বলেন, শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া কিছুই আমরা রাখবো না। সেখানে জাকারিয়া নামে এক ছাত্রদল নেতাকে বিষয়টি বললে তারা উপরে লাগানো টাইলসগুলো ভেঙে চলে যায়।’
প্রধান উপদেষ্টা দেশে কোনো স্থাপনা ভাঙচুর না করার জন্য আহবান জানিয়েছেন- বিষয়টি অবগত করলে বোয়ালমারী থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম রসুল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।