মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ ১০ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫
‘তোমাদের গুলি করব না, মোদির কাছে গিয়ে সব জানাও’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৫৬ PM
চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী। শোকে মুহ্যমান অবস্থায় এক হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেয়, পল্লবী ও তার ছেলের কোনও ক্ষতি করা হবে না, তারা যেন বরং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত প্রকাশ করেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি ফোনে বলেন, আমরা ঘোড়ায় চড়ে পাহেলগামে গিয়েছিলাম। আমাদের ছেলে সকাল থেকে কিছু খায়নি। তাই আমার স্বামী কিছু খাবার আনতে গিয়েছিল। এরপরই আমি হঠাৎ গুলির আওয়াজ শুনি। প্রথমে ভেবেছিলাম সেনাবাহিনী ফাঁকা গুলি করেছে। পরে দেখি ভীতসন্ত্রস্ত লোকজন ছোটাছুটি করছে।

স্বামী মঞ্জুনাথ এবং ১৮ বছর বয়সী ছেলে অভিজেয়াকে নিয়ে কর্ণাটক রাজ্যের শিভামোজ্ঞাতে বাস করেন পল্লবী। তিনি একটি ব্যাংকে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। মঞ্জুনাথ ছিলেন একজন আবাসন ব্যবসায়ী। ১৯ এপ্রিল কাশ্মীর পৌঁছান তারা। ২৪ তারিখ ঘরে ফেরার কথা ছিল।

ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং একজন নেপালের নাগরিক ছিলেন। এছাড়া দুইজন স্থানীয় বাসিন্দাও রয়েছেন।

মঞ্জুনাথের মরদেহ দেখার কথা স্মরণ করে পল্লবী বলেন, আমি তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখি। সেখানে তিন কি চারজন বন্দুকধারীকে আমি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। তাদের একজনের মুখোমুখি হয়ে আমি বলি, আমার স্বামীকে তো মেরেই ফেললে, এখন আমাকেও মারো।

তাদের সন্তান অভিজেয়াও সন্ত্রাসীদের প্রতি মারমুখী হয়ে এগিয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন পল্লবী। তিনি বলেন, অভিজেয়া এগিয়ে এসে বলে, কুকুরের দল, আমার বাবাকে তো মেরেই ফেললি। আমাদের বাঁচিয়ে রাখবি কেন। মার, আমাদেরও মার!

তবে ওই ব্যক্তি তাদের হত্যা করতে অস্বীকৃতি জানায়। সে বলে, তোমাদের মারবো না। যাও, মোদিকে জানাও গিয়ে (এখানে কী হয়েছে)।

সন্ত্রাসীরা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের হত্যা করছিল বলে উল্লেখ করেন পল্লবী। তিনি বলেন, সেদিন প্রায় পাঁচশর মতো পর্যটক ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন নবদম্পতি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কেবল স্বামীদের হত্যা করা হয়েছে। বন্দুকধারীদের পরনে কোনও ইউনিফর্ম ছিল না।  

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত