মিরাজের হাত ধরে সাকিবের ১১ বছরের রেকর্ডে নতুন পালক
স্পোর্টস রিপোর্ট
প্রকাশ: বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৩৪ PM
হার দিয়ে সিরিজ শুরুর পর চট্টগ্রাম টেস্টে দাপুটে পারফরম্যান্সে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও দুই ম্যাচের সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়। মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামদের তোপের সামনে সফরকারীরা দাঁড়াতেই পারেনি। জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানের বড় ব্যবধানে হারানোর পথে রেকর্ড গড়েছেন মিরাজ। এ নিয়ে তিনি সাকিব আল হাসানের ১১ বছরের পুরোনো কীর্তিতে ভাগ বসালেন।
এখন পর্যন্ত একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ফাইফার নেওয়ার রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের দুজনের। সর্বোচ্চ দুইবার এই কীর্তি গড়েছিলেন সাকিব। এ ছাড়া সোহাগ গাজীর এমন নজির রয়েছে একবার। সাবেক দুই তারকা ক্রিকেটারের রেকর্ডটির বয়স ১১ বছর হয়েছে। সাকিব ২০১৪ সালে সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একই টেস্টে ব্যাট হাতে ১৩৭ রানের পাশাপাশি বল হাতে দুই ইনিংসেই ফাইফার নিয়েছিলেন। সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুই ইনিংসেই পাঁচ উইকেট শিকারের রেকর্ডটি টাইগার ক্রিকেটার হিসেবে কেবল সাকিবের রয়েছে।
সাকিব আল হাসানের ১১ বছরের পুরোনো কীর্তিতে ভাগ বসালেন মিরাজ
সাবেক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার আরেকবার টেস্টে ফাইফার ও সেঞ্চুরি করেন ২০১১ সালে, মিরপুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। অন্যদিকে, সোহাগ গাজী ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১০১ রান এবং ৭৭ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন। এতদিন একই টেস্টে ফাইফার ও সেঞ্চুরির কীর্তি ছিল এই দুজনের। এরপর ১১ বছর আর কেউ ওই কীর্তিতে নাম লেখাতে পারেনি। তাদের সঙ্গে এবার সেই রেকর্ডটিই ভাগাভাগি করলেন মিরাজ।
সব মিলিয়ে টেস্টে ইতিহাসে এমন কীর্তি নেওয়ার ঘটনা ৩৯টি। এর মধ্যে তিনটি বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ এক ইনিংসেই কেবল ব্যাট করেছে। যেখানে সাদমান ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৪৪ রান। এর আগে শুরুতে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে অলআউট হয়েছিল। ফলে বাংলাদেশ লিড পায় ২১৭ রানের। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে সফরকারীরা মাত্র ১১১ রানেই গুটিয়ে গেছে।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। যা চলতি সিরিজের চার ইনিংসে তার তৃতীয় ফাইফার। এ নিয়ে টেস্টে তার ফাইফারের সংখ্যা ১৩টি। বাংলাদেশিদের মধ্যে সাকিব সর্বোচ্চ ১৯ এবং তাইজুল ১৬ বার টেস্টে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন। তবে এক ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি সর্বোচ্চ ৩ বার রয়েছে কেবল মিরাজের। এ ছাড়া সাকিব-তাইজুল টেস্টে ১০ উইকেট নেন ২ বার করে।