টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সিঁধ কাটা ঘর থেকে খোদেজা বেগম (৫৫) নামে এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকাল ৩টার দিকে কালিহাতীর গোহালিয়াবাড়ী পশ্চিমপাড়া (জামাইপাড়া) গ্রামে রেললাইন সংলগ্ন সিঁধ কাটা নির্জন নিজ ঘরের শয়ন কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত খোদেজা বেগম ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত আতোয়ার রহমানের স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১১ টার দিকে নিজ ঘরের শযনকক্ষে নিহত খোদেজা বেগমের নাক মুখ রক্তাক্ত ও কপালে আঘাত চিহ্ন রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, খোদেজা বেগমের স্বামী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ১০/১২ বছর আগে মারা গেছেন। খোদেজা বেগম যমুনা সেতু-জামালপুর রেললাইন সংলগ্ন নির্জন বাড়ীতে একাই বসবাস করে আসছিলেন। তার কোনো সন্তান নেই। তার একটি পালিত ছেলে রয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পালিত ছেলে আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১৩ মে বাড়ীতে এসে দেখে গেছেন। দুইদিন যাবত মোবাইল ফোনে মাকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। শনিবার সকাল ১১টার দিকে বাড়িতে এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ, ঘরে সিঁধ কাটা ছিল। মা শয়ন কক্ষে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ধারণা করছি আমার মাকে হত্যা করা হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার কালিহাতী (সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর সঠিক রহস্য উদঘাটন করা যাবে। তবে তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।