সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০ বছর বয়সী এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ রবিবার (১ জুন) বিকেলে সিরাজগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (২) আদালতে তাকে হাজির করা হলে বিচারক রাসেল মাহমুদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর আগে ভোরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হাসান ইমাম রাসেল (২৮) সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য ও একই ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি পশ্চিম দত্তবাড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আহসানুজ্জামান বলেন, ৩ মাস আগে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের বাঐতারা গ্রামের ওই তরণীর সাথে হাসান ইমামের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। এ অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে হাসান ইমামের কথামতো ওই তরুণী শহরের বাজার ষ্টেশনে আসে।
সেখান থেকে হাসান ইমাম তাকে হরিনা বাগবাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের এক বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে হাসান ও সোহাগ নামে দুই যুবক তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আশপাশের লোকজন টের পেলে ওই তরুণীকে রেখে যুবকরা পালিয়ে যায়।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ওই তরুণী থানায় এসে অভিযুক্ত দুই যুবক এবং সহযোগীতার অভিযোগে ওই বাড়ির দুইজন মিলে মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর রবিবার ভোরে নিজ বাড়ি থেকে মামলার প্রধান আসামী হাসান ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেপ্তার হাসান ইমামকে বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।