মাদারীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মীসভায় হামলা চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।
অভিযোগ উঠেছে, এনসিপির জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহর অনুসারী কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার সময় মাদারীপুর পৌর শহরের বাদামতলা এলাকার ভূইয়া কমিউনিটি সেন্টারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে মাসুম বিল্লাহকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত মাসুম মাদারীপুর পৌর শহরের বাদামতলা এলাকার আফতাব উজ্জামানের ছেলে।
পুলিশ, এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা জানায়, বুধবার বিকেলে মাদারীপুর পৌর শহরের বাদামতলা এলাকার ভূইয়া কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় গ্রুপিং দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কর্মীসভায় হামলা চালায় জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহর অনুসারী জেলা এনসিপির সদস্য রাতুল হাওলাদারসহ তার দুই সহকারী টুটুল আকন ও রোমান শেখ।
মাদারীপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক দিয়া ইসলাম বলেন, ‘যার হাত ধরে এই জেলায় আন্দোলন শুরু হয়েছে। আজ তার ওপরই হামলা হলো। যারা হামলা করেছে তারা আমাদের সহযোদ্ধা না। তারা হচ্ছে সন্ত্রাসী। তা না হলে আমরা শিক্ষার্থী, আমাদের হাতে থাকবে কলম, অস্ত্র থাকবে কেন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মাদারীপুর জেলা সমন্বয়কারী কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী নেয়ামত উল্লাহ বলেন, ‘হামলাকারীরা একদল সন্ত্রাসী। তারা জেলা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য নানাভাবে এনসিপিতে যোগদান করেছে। তাই আমরা ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করি। এই সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে সুযোগ খুঁজছিল এবং হাত-পা কেটে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল। তারা একটা কিলিং মিশনে নেমেছে। যদি এই সন্ত্রাসীরা বাইরে থাকে তাহলে আমরা বাঁচতে পারব না। তারা ন্যায় বিচার, আইনের শাসন ও এনসিপির পক্ষে না এবং হাসনাত আবদুল্লাহর বিরোধিতা করে। আমরা নানাসময় এই কথাবার্তার বিরোধিতা করেছিলাম। এজন্যই এই হামলার শিকার হতে হয়েছে।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কী কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। তবে যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের জন্য ইতোমধ্যে আমাদের অভিযান চলছে। আমরা প্রত্যাশা করি জড়িত সকলকে দ্রুতই আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হব।’
এ হামলার অভিযোগের বিষয় জানতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মাদারীপুর জেলা সমন্বয়কারী কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহর মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এজন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।