খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) ‘ট্রান্সফরমেটিভ রিসার্চ এন্ড ইটস ফিউচার ইমপ্যাক্টস’ শীর্ষক দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ তাদের গবেষনাপত্র উপস্থাপন করেন।
বেলা ১১.৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এর সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘ট্রান্সফরমেটিভ রিসার্চ’ ধারণাটি আরও জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। এটি কেবল গবেষণার একটি ধারা নয়, বরং সমাজ, রাষ্ট্র এবং নীতিনির্ধারণে প্রভাব বিস্তারকারী একটি শক্তিশালী মাধ্যম। গতানুগতিক চিন্তাধারার গণ্ডি পেরিয়ে নতুন ধারণা, পদ্ধতি ও দৃষ্টিভঙ্গিতে গবেষণায় মনোনিবেশ করাই ট্রান্সফরমেটিভ রিসার্চের মূল লক্ষ্য। এ ধরনের গবেষণা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি গড়ে তোলে এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়।
সম্মেলনের চিফ প্যাট্রন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল আহসান। কী-নোট স্পিকার হিসেবে ‘ট্রান্সফরমেটিভ রিসার্চ এন্ড ইটস ফিউচার ইমপ্যাক্টস’ বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা করেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল-আউয়াল।
তিনি এই সম্মেলনের মূল প্রবন্ধে ট্রান্সফরমেটিভ রিসার্চের মূল বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন। তিনি তার ব্যক্তিগত বিভিন্ন গবেষণা ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ট্রান্সফরমেটিভ রিসার্চের উদাহরন তুলে ধরেন। ট্রান্সফরমেটিভ রিসার্চের ক্ষেত্রসমূহ এবং বাংলাদেশে এই ধরণের গবেষণায় চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের পথ তিনি তার কী-নোটে উপস্থাপন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্যাট্রন হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলন আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. খান মেহেদী হাসান। গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রফেসর ড. মোঃ মুরছালিন বিল্লাহ।
দিনব্যাপী এ সম্মেলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, শিক্ষক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী পর্বের পর আয়োজিত টেকনিক্যাল সেশনে গবেষকরা তাদের গবেষণাসমসূহ উপস্থাপন করেন।