গারো পাহাড়ে যেসব জমি অনাবাদি ছিল, সেই জমিগুলোতে বরবটি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। শেরপুরের শ্রীবরদী,ঝিনাইগাতী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা গারো পাহাড়ের কৃষকরা শীতকালীন সবজি বরবটির ভাল ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এতে করে বদলে যাচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক চিত্র। বরবটির চারা রোপনের পর ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষক হেমার সন সাংমা বলেন, আগে পাহাড়ের জমিগুলোতে কোন কিছুই হতো না। এখন এই পতিত জমিগুলোতে বরবটি চাষ করে মাত্র ৪০/৪৫ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। এত করে সংসারের সব ধরনের খরচ এই জমি থেকেই আসে।
ঝিনাইগাতী উপজেলার হলদি গ্রামের ব্যবসায়ী সুরুজ আলী বলেন, প্রতিদিন সূর্য উঠার পরপরই স্থানীয় কৃষকরা বরবটি বিক্রি করার জন্য বাজারে নিয়া আসেন।এখান থেকে তা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। প্রতিদিন এই বাজারে ১০থেকে ১২ টাকার বরবটি বিক্রি হয়।
শ্রীবরদী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, এ বছর শীতকালীন আগাম সবজি বরবটি চাষ করে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। শ্রীবরদীতে ৫০ হেক্টর জমিতে বরবটি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল কিন্তু কৃষকরা ৬০ হেক্টর জমিতে বরবটি চাষ করেছেন। এতে করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই বরবটি পাঠানো হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপজেলার শ্রীবরদী,ঝিনাইগাতী এবং নালিবাড়িতে প্রায়ই ৭৫ হেক্টর জমিতে বরবটি চাষ হয়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন।