জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, আগামীর জাতীয় নির্বাচন হবে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সত্যের বিজয়ের নির্বাচন।
তিনি বলেন, “অতীতে জামায়াতের ৬২ জন এমপি ছিলেন, কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ বা মামলা হয়নি। সরকারের চাপ সত্ত্বেও আমার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দুদক নিজেই স্বীকার করেছে—তথ্যগত ভুলের কারণে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।”
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে গুনবতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, “আমরা সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘুর রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কাউকে নির্যাতন করা হবে না—এটাই আমাদের অঙ্গীকার।”
তিনি আরও বলেন, দেশের তরুণ সমাজ সত্যিকারের পরিবর্তন চায় এবং ডাকসু, জাকসু, রাকসু ও চাকসুর মাধ্যমে ছাত্রসমাজ ছাত্রশিবিরকে বেছে নেওয়াই তার প্রমাণ।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন গুনবতী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মো. ইউসুফ মেম্বার এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য ডা. মন্জুর আহমেদ সাকি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর মু. মাহফুজুর রহমান, জামায়াত ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্ম পরিষদ সদস্য ভিপি শাহাব উদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন—ঢাকা দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য আইয়ুব আলী ফরায়েজী, ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক এমডি সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ, চৌদ্দগ্রাম পৌর আমীর মাও. মোহাম্মদ ইবরাহীম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী একরামুল হক হারুন, মেশকাত উদ্দিন সেলিমসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, হেফাজতে ইসলাম নেতৃবৃন্দ, সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রতিনিধি বিপ্লব চন্দ্র দাস ও আহত শিবির কর্মী জহির উদ্দিন।