বলিউডের অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই পেশাগত সততা ও আদর্শকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চলেছেন। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পেশাদার কর্মক্ষেত্র সবকিছুতেই তিনি অত্যন্ত ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেন। সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোই তার এই দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ দেয়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা তার ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের পেছনের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। নিজের আদর্শের প্রতি সৎ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, টাকার জন্য নিজেকে কখনো বিলিয়ে দিইনি।
তিনি আরও জানান, ক্যারিয়ারে অনেকবার মোটা টাকার প্রস্তাব পেয়েছি, কিন্তু টাকার কাছে মাথা নত করিনি। টাকার জন্য এমন কোনও চরিত্রে অভিনয় করিনি, যেটিতে ছবিতে কোনও গুরুত্ব নেই। আমার কাজের প্রতি সততা প্রথমে আসে।
বলিউডের মতো প্রতিযোগিতামূলক ইন্ডাস্ট্রিতে, যেখানে তারকাদের বাজারমূল্য প্রায়শই পারিশ্রমিকের আকারে নির্ধারণ করা হয়, সেখানে এই ধরনের সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ নয়। দীপিকা জানিয়েছেন, তার এই আত্মবিশ্বাস প্রথম থেকেই সম্পূর্ণ ছিল না।
তিনি বললেন, নিজের পায়ের তলার মাটি যখন শক্ত হতে শুরু করে, তখন থেকেই আমি কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস পেয়েছি।
অভিজ্ঞতার গুরুত্বও তিনি উল্লেখ করেছেন। দীপিকা বলেন, অভিজ্ঞতা হলো জীবনের সবচেয়ে বড় সঞ্চয়। অভিজ্ঞতা থাকায় অনেক সিদ্ধান্ত সহজে নিতে পেরেছি। প্রতিটি কাজ আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে বাণিজ্যিক চাপের মাঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
দীপিকার মতে, পারিশ্রমিকের পিছনে না গিয়ে কাজের মান এবং চরিত্রের গুরুত্বকেই প্রথম স্থানে রাখতে হবে। তিনি মনে করেন, শুধুমাত্র টাকা বা বাণিজ্যিক সাফল্যের জন্য কাজ করলে তা দীর্ঘমেয়াদে সন্তুষ্টি দেয় না। আমি চাই আমার কাজ মানসম্মত হোক এবং দর্শকরা সেটি অনুভব করুক।
দীপিকা আরও বললেন, শিল্পী হিসেবে নিজের অবস্থান শক্ত করতে হলে কখনও কখনও সাহসী, অনির্দিষ্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তও নিতে হয়। তিনি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সবসময় চেষ্টা করেন এমন প্রকল্পে কাজ করতে যা তার সৃজনশীলতা ও দক্ষতাকে প্রতিফলিত করে।
সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে দীপিকা জানালেন, টাকা প্রলোভন কখনও আমাকে প্রভাবিত করতে পারে না। প্রতিটি কাজ আমার নৈতিকতা ও পেশাগত মানদণ্ড অনুযায়ী নির্বাচন করি। দর্শক এবং কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা সর্বোচ্চ। এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে দীর্ঘমেয়াদে সফল করেছে।
দীপিকার এই পেশাদার দৃষ্টিভঙ্গি প্রমাণ করে যে, বলিউডের প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশেও সততা, অভিজ্ঞতা ও আদর্শকে অগ্রাধিকার দেওয়া সম্ভব।