আমতলী এ.কে. হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফরোজা জাহান তানিয়ার বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনতাহা নুহাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা জুলেখা আফরোজ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসারে।
অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সফিউল আলম তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সহকারী শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার দাশকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে আজকের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জুলেখা আফরোজের মেয়ে মুনতাহা নুহা ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযোগে বলা হয়েছে, শিক্ষক আফরোজা জাহান তানিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কারণে নুহাকে গালিগালাজসহ মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন।
গত ১৯ নভেম্বর মডেল টেস্ট পরীক্ষার দিন পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগ মুহূর্তে শিক্ষক তানিয়া নুহাকে গালাগাল করেন এবং মারধরের জন্য উদ্যত হন বলে দাবি শিক্ষার্থীর।
শিক্ষার্থী মুনতাহা নুহা বলেন, শিক্ষক তানিয়া ম্যাডাম প্রায়ই আমাকে গালাগালি করেন। পরীক্ষার দিন হলে ঢোকার আগে আমাকে ভয় দেখান, এতে আমি ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারিনি।
তার মা জুলেখা আফরোজ বলেন, ভর্তি হওয়ার পর থেকেই আমার মেয়েকে কারণে-অকারণে নির্যাতন করা হচ্ছে। পরীক্ষার দিনও গালিগালাজ করা হয়েছে। আমি ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী শিক্ষক আফরোজা জাহান তানিয়া বলেন, আমার মেয়ে আর ও মেয়ে একই ক্লাসে পড়ে। পরীক্ষার হলে আমার মেয়েকে বিরক্ত করছিল। তাই বারণ করেছি। কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করিনি।
তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার দাশ বলেন, তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সফিউল আলম বলেন, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।