চাঁপাইনবাবগঞ্জে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালির মাধ্যমে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব’র ৯২তম জন্মবার্ষিকী এবং বঙ্গমাতা বেগম মুজিব পদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়।
পরে দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শংকর কুমার কুন্ডু, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মনোয়ারা বেগম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্রনাথ উরাঁও, সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এ এম ফজল-ই খুদা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আনিছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফফাত জাহান।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এ লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যে প্রেরণাদাত্রী ছিলেন ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর গোটা রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি কাজে প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন। বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বারবার পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবন যাপন করছিলেন, তখন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কাছে ছুটে যেতেন। তিনি তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিক নির্দেশনা পৌঁছে দিতেন ও লড়াই চালিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাতেন।
আরো বলেন, এদেশের মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামে বেগম মুজিব যে কর্তব্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম, দূরদর্শী চিন্তা, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তার ফলে জাতির পিতার পাশাপাশি তিনি আজ বঙ্গমাতার আসনে অধিষ্ঠিত। এ দেশের রাজনীতিতে তার অনন্য সাধারণ ভূমিকার জন্য চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার জীবনের ওপর একটি আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে কর্মক্ষম, অসহায় ও অস্বচ্ছল নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ১২ জনকে সেলাই মেশিন ও ৭ জনকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়।
অপরদিকে, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা শহরের পাঠানপাড়াস্থ শহিদ মনিমুল হক সড়কের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির সভাপতি মোহাঃ আব্দুল আওয়াল গনি জোহার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফায়জার রহমান কনকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আরিফুর রেজা ইমন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ তোসিকুল আলম বাবুল, আ’লীগ নেতা জুবায়ের প্রমুখ।
শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালে কোরআনখানি অনুষ্ঠিত হয়।
-বাবু/ফাতেমা