জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জের সব রুটের লোকাল বাস ও দূরপাল্লার কোচের ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। দূরপাল্লার কোচের ভাড়া সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০টাকা কম নেয়া হলেও লোকাল বাসের ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন। আর এ কারণে যাত্রীদের সাথে সুপারভাইজারদের তর্কে জড়িয়ে পড়া নিয়ে বাকবিতন্ডা ঘটছে।
এ ঝামেলা এড়াতে গত ২ দিন ধরে সিরাজগঞ্জের সব রুটে লোকাল বাস চলাচল কমে গেছে। বাস সংকটে পড়েছে যাত্রীরা তাদের ঘন্টার পর ঘন্টা বাসের জন্যে দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অনেকে বাস না পেয়ে অটোভ্যান বা সিএনজি টেম্পু যোগে গন্তব্যে যাচ্ছে। এতে তাদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ-পাবনা রুটে চলাচলকারি মায়ের দোয়া পরিবহণের মালিক আব্দুস সবুর খান বলেন বেশি দামে তেল কিনে সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় পোশায়না। অপরদিকে বেশি ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সাথে প্রায়ই বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটছে। ফলে ড্রাইভার হেলপাররা গাড়ি চালাচ্ছে না। অপর দিকে বেশি দামে তেল
কিনে সরকার নির্ধারিত মূল্য নিয়ে আমাদের পোশায় না। ফলে লোকশানের ভয়ে গাড়ি বের করা হয়নি।
একতা পরিবহণের ম্যানেজার আলামিন হোসেন বলেন,আমরা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০টাকা কম নিচ্ছি। অপরদিকে তাড়াশ-সিরাজগঞ্জ রুটে চলাচলকারী লুৎফর রামান,আলাউদ্দিন,অনিল কুমার জানান,তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে আগের তুলনায় ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ আদায় করা হচ্ছে। এ কারণে প্রায়ই যাত্রীদের সাথে সুপারভাইজারদের বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটছে।
অপরদিকে না পোশানোর অজুহাতে বাস চলাচল কমে যাওয়ায় যাত্রীরা চরম দূর্ভোগে পড়েছে। এ বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জ বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন,বিষয়টি নিয়ে আমরা মালিক পক্ষের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। আশাকরি অচিরেই এ সমস্যার সমাধাণ হয়ে যাবে।
-বাবু/ফাতেমা