সাভারের আশুলিয়ায় নিজ অনুসারী কিশোরদের প্রশ্রয় ও নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিপক্ষ এক কিশোরের বাড়িতে হামলা, মারধর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউপি সদস্য ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আশুলিয়া থানাধীন পাথালিয়া ইউনিয়নের নিরিবিলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পাথালিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগ নব্য সদস্য সফিউল আলম সোহাগসহ ৮ জনকে আটক করে পুলিশ।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মামলা নথিভুক্ত হলে আটকদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে এবিষয়ে নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী কিশোর তাওহীদ সরদার বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে আমার বন্ধু শাওনকে নিয়ে নিরিবিলি মুক্তধারা মাঠে বসেছিলাম। এ সময় ২০ থেকে ২৫ জন ছেলে-মেয়ে সেখানে আসে। পরে তারাও সেখানে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় তাদের একজন ডিস্টার্ব হচ্ছে জানিয়ে আমাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলে। তখন আমার বন্ধু শাওন এর প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
তিনি আরো বলেন, বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার মাথায় ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আঘাত করে। এ সময় আমার বন্ধু শাওন দ্রুত আমার বড় ভাইকে ফোন করে ডেকে আনলে তারা পালিয়ে যায়। পরে ফাহিম নামে যে ছেলেটা আমাকে আঘাত করেছিল তাকে ধরে আমার বাড়িতে নিয়ে যাই। এ ঘটনার জেরে ওই পক্ষের হয়ে ইউপি সদস্য সোহাগ লোকজন নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ তাওহীদের।
তার বর্ণনায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে লোক নিয়ে সোহাগ মেম্বার আমাদের বাড়িতে হামলা চালায় এবং আমাকে মারধর করে। এতে বাধা দিতে গেলে মেম্বার আমার মা, বোন ও ভাইকে মারধর করে। তারা বাড়ির জানালার গ্লাসসহ আসবাবপত্র ভাংচুর ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
তাওহীদের বোন তাবাসসুম তামান্না বলেন, ‘মেম্বার আইসা পুরো বাড়িতে তাণ্ডব চালাইছে। আমার ভাইয়ের বাইকটা ভাঙছে। পরে মেম্বার লাঠি দিয়া আমারেও মারছে। গলা ধাক্কা দিয়া ফালাইয়া দিলে আমি কোমরে ব্যথা পাই। তখন তার পোলাপান আমারে লাথ্থাইছে। আমার আম্মুরেও মারছে সোহাগ মেম্বার।’
মা বকুল বেগম বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনায় রাতে ২০ থেকে ২৫টা হোন্ডা নিয়ে এসে আমার বাড়িতে মেম্বারের লোকজন হামলা করছে। তারা স্বর্ণের চেইন, ৯০ হাজার টাকাসহ নানা কিছু নিয়ে গেছে। আমরা রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে সেখানেও মেম্বার দলবল নিয়ে গিয়ে আমাদের হেনস্তা করে। পরে পুলিশ মেম্বার সোহাগসহ ৮ জনকে আটক করেছে।
উপ-পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম বলেন, বকুল বেগম ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মঙ্গলবার রাতে আটক ৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
-বাবু/ফাতেমা