শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫ ২৭ আষাঢ় ১৪৩২
শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫
আমনে চাষীর মন বেজার!
আগের চেয়ে আমন আবাদে হেক্টর প্রতি খরচ বেড়েছে ১৫-১৮ হাজার টাকা
মাহমুদ হাসান, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
প্রকাশ: রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২, ৩:৫৮ PM আপডেট: ১৬.০৮.২০২২ ৬:৪২ PM
আমন আবাদের শুরুতে তীব্র দাবদাহ। পানি সংকট ছিল ফসলি জমিতে। অনেকে সেই সংকট মিটিয়েছে পাম্পের সাহায্যে পানি সেচ করে। গুটি কয়েকজন চাষী সেচ করা পানি দিয়ে আমন চাষাবাদ করলেও অধিকাংশ কৃষক সে পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেনি। তারা ভরসা নিয়ে তাকিয়ে ছিল আকাশের দিকে। মুষালধারে বৃষ্টি ঝড়বে। সেই বৃষ্টির পানিতে স্বস্তি নিয়ে আবাদ করবে আমন। কিন্তু বাস্তবচিত্র হয়েছে ভিন্ন। দীর্ঘ তাপদাহ শেষে কয়েকদিন ধরে মুষালধারে বৃষ্টি হচ্ছে ঠিকই। অথচ এই বৃষ্টি কৃষকদের উপকারে আসছেনা। চলমান বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানি ভাঙ্গা বেড়িবাধঁ দিয়ে ঢুকে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছয় ইউনিয়নের আমন ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। আবাদ করা আমন এবং বীজতলা নিয়ে চিন্তিত কৃষক। জমিতে থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হলে বীজতলা পচে যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। অপরদিকে সার এবং ডিজেল ও কেরোসিন এর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমন চাষে আগের চেয়ে খরচ বেড়েছে হেক্টর প্রতি ১৫-১৮ হাজার টাকা।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি বছরে ২৮ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ হেক্টরে আবাদ এবং ১ হাজার ৮১৮ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা করা হয়েছে।

সাজির হাওলা গ্রামের মোকলেছ মাতব্বর জানান, ‘যখন বৃষ্টির পানি দরকার ছিল সে সময় বৃষ্টি ছিল না। এখন জোয়ারের পানি ঢুকছে,  সে সঙ্গে বৃষ্টিও হয়েছে। জোয়ার এবং বৃষ্টির পানিতে ক্ষেত এখন তলিয়ে গেছে। এখন পানি দ্রুত জলকপাট দিয়ে নেমে গেলে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি কম হবে।’

চরমোন্তাজ ইউনিয়নের মো. রাসেদ খান বলেন, ‘এ বছর খরার কারণে বীজতলা ভালো হয়নি। পানির অভাবে সময় মতো বীজ রোপণ করতে পারিনি। বীজের বয়স হয়ে গেছে। আবহাওয়া ভালো হলে বীজ রোপণ শুরু করবো।’  মধ্য চালিতাবুনিয়া গ্রামের ইলিয়াস মৃধা জানিয়েছেন, ‘সার ও দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়া এখন হেক্টর প্রতি খরচ হয় ৮৫-৯০ হাজার টাকা। যা গতবছর হয়েছে ৭০-৭২ হাজার টাকা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল আহম্মেদ বলেন, ‘সার এবং জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা সম্যসায় পড়েছে। তার উপরে আবার জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা সংশ্লিষ্ট জলকপাটগুলো মনিটরিং করছি।’

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘ভাঙ্গা বেড়িবাধঁ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে রয়েছে কৃষি জমি। কৃষকদের ফসল রক্ষায়  স্লুইস ঘেটের নিয়ন্ত্রণ এবং ভাঙা বেড়িবাধঁ সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে দ্রুত কথা বলবো।’

-বাবু/ফাতেমা

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত