শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার ২৮ জুন ২০২৫
পিরোজপুরের বিদ্যালয়ের সামনে ভাঙা সাঁকো দুঃচিন্তায় অভিভাবকরা
এস.এম.আকাশ, পিরোজপুর
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৩:১৯ PM
পিরোজপুরের নেছারাবাদের পূর্ব কামারকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভাঙা সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করে কোমলমতী শিক্ষার্থীরা। যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে সাঁকোটি, ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে এ নিয়ে প্রতিদিন দুঃচিন্তায় থাকতে হয় অভিভাবকদের।

জানাগেছে, পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার জলাবাড়ি ইউনিয়নের কামারকাঠি গ্রামের পূর্ব কামারকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সাঁকোটি ৪ বছর আগে তৈরির করা হয়। গত ২ বছর পূর্বে সামান্য মেরামত করার ফলে সাঁকোটির এখন ব্যবহারের অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। অপরদিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ উপজেলা সদরের সঙ্গে কামারকাঠী গ্রামের ৭ থেকে ৮ হাজার মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই সাঁকোটি।

জড়াজীর্ণ সাঁকোটি মাঝখান দিয়ে দেবে যাওয়ায় মালবাহী ট্রলার ও নৌকা আটকে প্রতিনিয়তই ব্যাহত হচ্ছে যাতায়াত। ফলে স্থানীয় নার্সারি ব্যবসায়ীদের নৌকা নিয়ে বাজারে যেতে ঊেস পেতে হয়। স্থানীয়রা বলেন, কয়েকবার এলাকাবাসীর উদ্যোগে সাঁকোটি মেরামত করা হলেও এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে। এ কারণে সস্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে দুঃচিন্তায় থাকছেন অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার বলেন, আমার স্কুলে শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা প্রতিদিনই এই ভাঙা সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করছে। বর্তমানে সাঁকোটির পাশের ধরনী ছুটে গেছে। প্রায়ই আমার স্কুলের শিক্ষার্থীরা এ সাঁকো পার হয়ে গিয়ে পড়ে আহত হয়। ২ বছর আগে সাঁকোটি সংস্কারের জন্য আমি ইউনিয়ন পরিষদে বলেছিলাম। ওই সময় স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য সাঁকোটি কাঠ দিয়ে মেরামত করে দিয়েছিলেন। তবে সেটি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এখন দ্রুত সংস্কার/পুণনির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন। স্থানীয় নার্সারি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, খালের ওপর সাঁকোটি যেভাবে ঝুলে আছে তাতে আমরা পানি বেশি থাকলে নিচ থেকে নৌকা নিয়ে যাতায়াত করতে পারি না। আমাদের নার্সারির চারা নিয়ে সাঁকোর নিচ থেকে হাটে যেতে হয়।

সাঁকোটি দ্রুত  সময়ে সংস্কার বা নতুন করে না করা হলে আমাদের ব্যবসায়ীদের ভোগান্তির শেষ হবে না। জলাবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বিপ্লব সমাদ্দার বলেন, কয়েকবার শুনেছি টেন্ডার হয় হয়, কিন্তু আজও হয়নি। সাঁকোটি এলাকার জন্য খুবই জরুরি। সাঁকোর ব্যাপরে চেয়ারম্যান চেষ্টা করছে এবং কথা বলছে বিভিন্ন জায়গায়। তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারবেন।

জলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমি প্রথমে জানতাম সাঁকোটি কার্পেটিং এর বাজেটে আছে। তাই কাজ ধরি নাই। সাঁকোটি ঝুকিপূর্ন হওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে এলজিএসপি প্রকল্পের মাধ্যমে সাঁকো সংস্কার অথবা একটি ব্রিজ করার ব্যবস্থা করবো। নেছারাবাদ উপজেলা এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শেখ তৌফিক আজিজ বলেন, সাঁকোটি আমাকে পরিদর্শন করে দেখতে হবে সেটি বর্তমানে কি অবস্থায় রয়েছে। পরিদর্শন শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। ব্যবহারকারীরা সাঁকোর ব্যাপারে একটি লিখিত আবেদন করলে আশা করছি দ্রুত সময়ে একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোশারেফ হোসেনের সঙ্গে সাঁকোটির সমস্যা নিয়ে কথা বললে তিনি বলেন, সাঁকোটি সম্পর্কে শুনেছি। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলছি। বিষয়টি আশা করছি সমাধান করা হবে।

-বাবু/এ.এস

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত