মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫ ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫
দৌলতপুরে ১৪ বছর যাবত মানসিক ভারসাম্যহীন রমজানের জীবন এখন চার টিনের ছাপড়ায় শিকলবন্দী
মোঃ লুৎফর রহমান, দৌলতপুর, (মানিকগঞ্জ)
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৫:৩০ PM

জন্মের প্রায় ২০ বছর পর অস্বাভাবিক আচরণ করে কিশোর রমজান, হারিয়ে ফেলে মানসিক ভারসাম্য। প্রায় ১৪ বছর ধরে শিকল বন্দি জীবন যাপন করছে রমজান মিয়া। বাবার সমর্থন অনুযায়ী চিকিৎসা পর সুস্থ্য হলেও পরে আবার ভারসাম্যহীন হয়ে পরে রমজান মিয়া। বেপরোয়া হয়ে অকারণে পরিবারসহ প্রতিবেশিদের সাথে অত্যাচার শুরু করে। তার এমন আচারণে হাত – পা শিকলবন্ধি করে বাড়িতে ফেলে রাখে তার বাবা। ফলে ১৪ বছর থেকে বাড়িতে খুটির সাথে শিকলবন্দি জীবন কাটছে রমজান মিয়া।
ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার খলসী ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মোঃ আজাহার মিয়ার বড় ছেলে রমজান মিয়া। অতি দরিদ্র কৃষক পরিবারের ছেলে রমজান মিয়া। ৫ পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা ও করে সে। দরিদ্রতার কারণে পড়ালেখা ছেড়ে কিশোর বয়সেই প্রেসে কাজ শুরু করে রমজান মিয়া। এসময়েই ঘটে তার মানষিক বিবৃতি। দীর্ঘদিন থেকে নানা চিকিৎসা পরও সুস্থ্য না হওয়ায় তাকে নিয়ে বিপাকে পড়ে পরিবারটি। চিকিৎসার খরচ জোগাতে ও হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবারটির। তাই ১৪ বছর ধরে শিকল বন্দি করে বাড়ির সামনে ছোট ছাপড়া ঘরে রাখা হয়েছে রমজান মিয়া কে।

রমজান মিয়ার বয়স এখন ( ৩৫) শিকলবন্দি ছেলেকে নিয়ে নিজেদের নানা কষ্ট ও দুর্ভাগের কথা জানালেন তার বাবা আজাহার মিয়া। সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানান রমজানের বাবা আজাহার মিয়া।

এবিষয়ে খলসী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হক জিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি আগে জানতাম না যে রমজান অসুস্থ কেউ আমাকে জানায়নি।তবে আমার জানামতে রমজান খুব ভদ্র নম্র একটি ছেলে ছিলো। এখন ও তার চিকিৎসা করতে পারলে ভালো হতে পারে। আমি সরকারের কাছে দাবী জানাই তাকে সু চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য ।

সবার সহযোগিতা আর সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রমজান স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীসহ তার পরিবারের।

এবিষয়ে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি এই প্রথম আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরুল হাসানকে দিচ্ছি তাকে যেন তাৎক্ষণিক ভাবে কিছু সহযোগিতা করা হয়। আর ডিডি সমাজ সেবাকে বলে তার চিকিৎসা ও আর্থিক সহযোগিতা করা ও ভালো কোন হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয় সে বিষয়ে আলাপ করবো। আমরা সরকারিভাবে যতটুকু পারি সহযোগিতা করবো। তার বাড়িতে যদি টিনের ঘর ভালো না থাকে সরকারি টিন দিয়ে মেরামত করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ।

বাবু/এসএম
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত