সোনাগাজীর ধর্ষণের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম (৪৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ। তিনি সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, সোনাগাজী উপজেলার এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গত ১৪ জুলাই অভিযুক্ত তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান হায়দার।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে একজন হলেন জাহাঙ্গীর আলম। ১১ সেপ্টেম্বর (রবিবার) রাতে ফেনী শহরের মিজান রোডে থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০০৩ সালে মামলা হওয়ার পর গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ দুই বছর জেল খাটেন তাঁরা। পরে তিনজনই জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম গ্রেপ্তার হলেও অন্য দুজন এখনো পলাতক। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুই আসামি হলেন, একই উপজেলার আবুল কাশেম ও মো. লাতু। তিন আসামিকে দুই লাখ টাকা করে অর্থদন্ড ও দেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১৩ মে রাতে চার দুর্বৃত্ত সোনাগাজী উপজেলার একটি বাড়িতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকেন। পরে দুর্বৃত্তরা ওই বাড়ির গৃহবধূকে বেঁধে রাখেন এবং গৃহবধূর কিশোরী মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পরদিন ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনকে আসামি করে মামলা করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদ হোসেন গ্রেপ্তার এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
বাবু/জাহিদ