ঈশ্বরদীতে আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়েছে আত্মহত্যার ঘটনা। গত তিন দিনে চারজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার রাত আটটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত তিন গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। সোমবার রাতে শেফা খাতুন (১৭) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শেফা খাতুন ভাড়ইমারি গ্রামের হিছাব উদ্দিনের মেয়ে ও ভাড়ইমারী রিয়াজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল। শেফা খাতুনের তিন মাস আগে বিয়ে হয়েছিল। কেন সে আত্মহত্যা করছে কেউ তা বলতে পারছে না। ভাড়ইমারী রিয়াজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, শেফা খাতুন তার বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সোমবারও সে ইংরেজী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে জেনেছি সে আত্মহত্যা করেছে।
প্রতিবেশী ফজলুর রহমান জানান, শেফা খাতুন সোমবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিজ কক্ষে বিশ্রাম নিতে যায়। পরিবারের লোকজন ভেবেছে সে ঘুমাচ্ছে। রাত ৯টা পর্যন্ত তার শব্দ না পেয়ে পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। রাত ১০টার দিকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কেন এই প্রবণতাগুলো বাড়ছে তা উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। এর জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাবু/জাহিদ