বরিশাল নগরীতে বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস ও নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রতারক লম্পটের বিরুদ্ধে। আর এ ঘটনায় আত্মহত্যার হুমকী দিয়েছেন ভুক্তভোগী রাহিমা বেগম। প্রতারক, লম্পট রিয়াজ শরীফ বাকেরগঞ্জ থানার ১২নং রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. জালাল শরীফের ছেলে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রাহিমা বেগম ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জের ১২নং রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা গ্রামের বাসিন্দা আ. আলতাফ হোসেনের মেয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ রাহিমা বেগম জানান, প্রতারক লম্পট রিয়াজ শরীফ আমার ছেলেকে প্রাইভেট পড়াতে বাসায় আসতো। সেই সুবাধে রিয়াজ নিজেকে রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয় দিত এবং নগদ টাকা ধার নিতো। একপর্যায়ে লম্পট রিয়াজ আমার দিকে কুদৃষ্টি দেয়া শুরু করে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে।
পরবর্তীতে আমার স্বামীর সাথে এটাওটা বলে বিরোধ সৃষ্টি করে দেয় এবং আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে তার প্ররোচনায় পড়ে আমার স্বামীকে তালাক দিলে সে ভন্ড কাজি দেখিয়ে আমাকে বিয়ে করেছে বলে জানায়। আমাকে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘর ভাড়া করে রাখে এবং স্বামি-স্ত্রী পরিচয় বসবাস শুরু করে। একপর্যায় আমাকে বরিশালে বাড়ি করে দিবে বলে আমার এফডিআর ও ব্যাংক একাউন্ট থেকে নগদ ৭ লাখ টাকা ও প্রায় ৩ লক্ষ টাকার স্বর্নালঙ্কার হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আমার টাকা দিয়ে সে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নদীর পাড়ে বিল্ডিং নির্মান করেন। একপর্যায় তার ব্যবহার ও আচরণে আমার সন্দেহ হলে তার কাছে বিয়ের কাবিননামা দেখতে চাইলে সে আমার উপরে নির্যাতন শুরু করে।
একপর্যায় রিয়াজ শরীফ জানায় সে আমাকে বিয়েই করেনি। অথচ দীর্ঘ ৫ বছর সে আমাকে নিয়ে অবৈধভাবে সংসার করে এবং আমার টাকা, স্বর্নালঙ্কার আত্মসাৎ করে। ভুক্তভোগী রাহিমা বেগম প্রতারক রিয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। এ ঘটনায় প্রতারক রিয়াজ শরীফ জানান, আমি এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট নেই। রাহিমা ছবি এডিট করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে। এ সময় রিয়াজ শরীফের কাছে এতগুলো ছবি এডিট ও তার নিজস্ব ভয়েস রেকর্ডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে না পেরে লাইন কেটে দেন।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জের (ওসি তদন্ত) সত্য রঞ্জন খাসকেল জানান, তার জানামতে রাহিমা বেগমের অভিযোগটি সত্য। তাদের থানাতে এ ঘটনায় রাহিমা বেগম একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনার স্থান বরিশাল নগরীতে হওয়ায় তিনি বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা অথবা কোর্টের দ্বারস্থা হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বাবু/জেএম