বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সাংবাদিক কমলেশ মোহন্ত শানু মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শজিমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. সুশান্ত কুমার সরকার।
নিহত সাংবাদিক কমলেশ মোহন্ত শানু বৈশাখী টেলিভিশনের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ও বগুড়া প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ১১ নভেম্বর শুক্রবার রাতে বগুড়া শহরের নামাজগড় এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া এক যুবকের সংবাদ সংগ্রহের জন্য সাংবাদিক শানু শজিমেক হাসপাতালে যান। সংবাদ সংগ্রহ শেষে রাত পৌণে ১১টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে শহরের খান্দার রোডে যাওয়ার জন্য হাসপাতালের সামনে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এমন সময় ঢাকাগামী একটি কোচ তাকে বহনকারী মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে শানুর বাঁ পা ভেঙে যায় এবং মাথায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন। পরে তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করেন চিকিৎসকেরা। সেই থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুপুর ১২ টায় সাংবাদিক কমলেশ মোহন্ত শানুর মরদেহ বগুড়া প্রেসক্লাবে আনা হলে সেখানে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে শেষ বিদায় জানান কর্মময় জীবনের সহকর্মীরা। এসময় তাঁর কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বগুড়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন, বগুড়া প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়ন, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, দৈনিক করতোয়াসহ অনেকে। এসময় সাংবাদিক শানুর কর্মময় জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ মূলক বক্তব্য রাখেন, বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিন্টু, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জেএম রউফ, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি মীর্জা সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক গনেশ দাস।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকেলে ফুলবাড়ি মহাশ্মশানে তার মা-বাবার পাশে সমাহিত করা হবে। অপরদিকে বগুড়া প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক শানুর মৃত্যুতে বগুড়া প্রেসক্লাব, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া শোক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বাবু/জেএম