হামলা হলে পাল্টা হামলা হবে কি না তা সময়ই বলে দেবে উল্লেখ করে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, ডিসেম্বর মাসেই খেলা হবে এবং আন্দোলন হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। সেজন্য তিনি রাজপথ, জনপদ, শহর, গ্রাম, পাড়া-মহল্লা সবখানেই আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, তৈরি আছেন? রাস্তায় কতোদিন থাকবেন? রাজপথ আমাদের। আমরা রাজপথ থেকে উঠে আসা। আমরা আকাশ থেকে পড়িনি। আমরা মাটি খুঁড়ে হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান গতকালও ঢাকার এক ক্যাডারের সঙ্গে কনভারসেশন করেছেন। লন্ডন থেকে বলেছেন, তোমরা রাস্তা ছাড়বে না, শেখ হাসিনা পালানোর পথ খুঁজছে। তার এমপি-মন্ত্রীরাও পালানোর পথ খুঁজছে। লন্ডন থেকে হুংকার দিচ্ছেন রাজপথ দখলের। ১০ তারিখের অনেক আগেই পল্টনে তাঁবু টানাচ্ছে বিএনপি, হান্ডি-পাতিল আনছে। কোথায় পাচ্ছে এই টাকা। তাদের এই অর্থের উৎস খোঁজা হচ্ছে।’
শনিবার দুপুরে সার্কিট হাউস মাঠে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, কুমিল্লায় কথা নিশ্চয়ই আপনারা জানেন। কুমিল্লায় বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজেরাই নিজেদের ৭১টি মোবাইল চুরি করেছে। তাই ৭১ জনের নামে মামলা হয়েছে। বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা হয়েছে। এভাবেই তারা ভোট চুরি করে। খেলা হবে হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং লুটপাটের বিরুদ্ধে। আমরা কারো দয়ায় রাজনীতিতে আসিনি।
ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্যে করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কামাল হোসেন সাহেব আপনি বলছেন শেখ হাসিনা বাহিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, মন্ত্রীরা বাহিরা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই কথা তারেক রহমান লন্ডন থেকে বসে বলছেন। বিদেশে অর্থ পাচার কারা করে? আপনারা। ডক্টর কামাল আপনার ভিসা আছে বাহিরে চলে যান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসমাবেশ কাকে বলে আগামীকাল চট্টগ্রামে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। স্মরণ কালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে। মানুষ আবারও আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে মুখিয়ে আছে। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে আর কেউ এতো উন্নয়ন করতে পারবে না। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ করা।
বক্তব্যের পূর্বে ওবায়দুল কাদের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকার সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোহিত উর রহমান শান্ত’র সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, কেন্দ্রীয় নেত্রী মারুফা আক্তার পপি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মো. শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি, জেলার বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্য গণ এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ঘোষিত কমিটিতে মহানগর আওয়ামীলীগের বিদায়ী কমিটির সভাপতি এহতেশামুল আলমকে জেলা কমিটির সভাপতি এবং জেলা আওয়ামীলীগের বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। মহানগর আওয়ামীলীগে সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটুকে সভাপতি এবং বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তকে নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
-বাবু/এ.এস