খাদ্য উৎপাদনে বোরো ধান বিশেষ ভূমিকা রাখছে। নিবিড় ফসল উৎপাদন কর্মসূচির ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে খুলনা অঞ্চলে বোরের বীজতলা তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩৪৭৫ হেক্টর। বেশী হয়েছে ৩১৬ হেক্টর। বীজতলা ১০২ শতাংশ অর্জন হয়েছে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২লাখ ৫৭ হাজার ২০ হেক্টর জমি । যা গত বছরের চেয়ে বেশী। চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ১১লাখ ৩৮হাজার ৮৭১মেট্রিকটন। চলও উৎপাদন বেশী হবে। পৌষের এই শীতকে উপেক্ষা করে কৃষকরা কাকডাকা ভোরে মাঠে ছটিছেন এবং প্রতিদিন দ্রæত আবাদ এগিয়ে চলছে। হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান আবাদ করা হচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছেন, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও নড়াইল জেলা নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চল। এই অঞ্চলের মধ্যে খুলনা জেলায়স বীজতলা তৈরী করা হয়েছে ৩হাজার ৭১৯ হেক্টর। জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪হাজার ১০হেক্টর। চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা ২লাখ ৯০হাজার ৪৭১ মেট্টিকটন। বাগেরহাট জেলায় বীজতলা তৈরী করা হয়েছে ৩হাজার ৩২৬ হেক্টর। জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩হাজার ২০হেক্টর। চাল উৎপাদনের সম্বাবনা ২লাখ ৮৮হাজার ৭৫৩ মেট্টিকটন। সাতক্ষীরা জেলায় বীজতলা তৈরী করা হয়েছে ৩হাজার ৯৯৬ হেক্টর। জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৯হাজার ৮২০হেক্টর। চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা ৩লাখ ৩৬হাজার ৭৭১ মেট্টিকটন এবং নড়াইল জেলায় বীজতলা তৈরী করা হয়েছে ২হাজার ৭৫০মেট্রিকটন। জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০হাজার ১৭০ হেক্টর। চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা ২লাখ ২২হাজার ৮৭৬ মেট্টিকটন।
সূত্র জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনূুকূলে থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাুিড়য়ে যাবে। এখনো সেচ সংকট দেখা দেয়নি। সরকার প্রণোদনা দেয়ায় কৃষকরা আগ্রহী হয়ে চাষাবাদে এগিয়ে আসছেন। হাইব্রিড ধান আবাদ করছেন ৮১হাজার কৃষক ও উচ্চ ফলনশীন ধানের আবাদ করছেন ৭৭ হাজার কৃষক। হাইব্রিড ধানের দাম বেশী হওয়ার কারণে সরকার প্রণোদনা হিসেবে জন প্রতি ২কেজি করে ১ লাখ ৬২হাজার কেজি এবং এবং উচ্চ ফলনশীল জন প্রতি ৫কেজি করে ৩লাখ ৮৫ হাজার কেজি ধান দেয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে যাবে। শীত কম থাকায় চারা ভালো হয়েছে। বোরো ধানে খাদ্য উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতে এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবেনা। কৃষক সরকারী প্রণোদনা পাচ্ছেন। যাতে তারা উৎসাহি হয়ে কৃষি কাজে এগিয়ে আসেন। তিনি পতিত জমি ফেলে না রেখে কৃষি উৎপাদনে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান।