<
সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১ আশ্বিন ১৪৩১
সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কেন্দুয়ায় নিজ ঘরে নিজেই আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটলো
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪, ৫:১০ PM
নিজের হিংসা চরিতার্থ করতে অন্যের ঘরে আগুন লাগানোর ঘটনা হর-হামেশায় শোনা যায়। তাই বলে নিজের ঘরে সেই কাজ ? এমন ঘটনা সত্যিই কম দেখা যায়। 

অথচ বৃহস্পতিবার (১১জুলাই) গভীর রাতে সেই ঘটনাই ঘটল। নিজ বাড়িতে আগুন দিল বাড়ির একমাত্র ছেলে বিশ্বজিৎ দাস কনকু। 

ঘটনাটি নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের আরামবাগ এলাকায় সত্যেন চন্দ্র দাসের 'কণা লজ' নামক  বাসতঘরে এঅগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সত্যেন চন্দ্র দাসের একমাত্র ছেলে বিশ্বজিৎ দাস নিজ বাসায় নিজেই আগুন দিয়েছেন। তার মানসিক ভারসাম্য ছিল না, এসময় সে মাদকাসক্ত ছিল বলে অনেকে ধারনা করেন। এসময় বাসায় তার বাবা-মা ছিল না। যখন আগুনের শিখা জ্বলছিল, তখন বাসা তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। স্থানীয়রা বলেন, আগুন লাগিয়ে তালা মেরে সে অন্যত্র চলে যান। 

এঅগ্নিকান্ডে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঘরে থাকা সবকিছু। আগুন দেখতে পেয়ে ছুটে আসে পাড়া-প্রতিবেশীরা এসে নিজেরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। এরপর খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছে স্থানীয় এলাকাবাসীকে নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে এঅগ্নিকাণ্ডের ফলে হাফ বিল্ডিং বাড়ি, আসবাবপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, চাল, কাপড় চোপড় পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে প্রায় ২০লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারনা। 

প্রত্যক্ষদর্শী কামরুল হাসান এরিপোর্টারকে জানান, বাসার মালিক সত্যেন চন্দ্র দাসের একমাত্র ছেলে বিশ্বজিৎ দাস কনকু মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় তার নিজের বাড়িতে নিজেই আগুন লাগান। আশে পাশে আগুন ছড়িয়ে যাবার আগেই এঅগ্নিকান্ডটি স্থানীয় এলাকাবাসীসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ততক্ষনে সম্পূর্ণ ঘর, ঘরের আসবাবপত্র, নগদ টাকা স্বর্ণালংকার, চাল, কাপড় চোপড় ইত্যাদি পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। 

কেন্দুয়া ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের  লিডার মো.আশরাফুল ইসলাম  বলেন, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে আমাদের কাছে ফোন আসে আরামবাগ এলাকার সত্যেন চন্দ্র দাসের বাসায় আগুন লেগেছে। সাথে সাথেই আমার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে দিকে রওনা হই। আধা ঘণ্টার পর সেখানে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে ১ ঘন্টায়ই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। অবশ্য ততক্ষণে সম্পূর্ণ ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার কারণ অজ্ঞাত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ২ লাখ টাকা হয়েছে বলে তিনি জানান। 

কেন্দুয়া থানার ওসি এনামুল হক পিপিএম বলেন, কেন্দুয়া পৌরসভার আরামবাগ এলাকায় সত্যেন চন্দ্র দাসের বসতঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। আমাদের যতটুকু জানতে পেরেছি, উনার ছেলে কনকু নেশাগ্রস্ত হয়ে এআগুন লাগিয়েছে । তবে পরিবারের অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বিশ্বজিৎ দাসকে মুটোফোনে বার বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। 
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সোস্যাল নেটওয়ার্ক

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক আউয়াল সেন্টার (লেভেল ১২), ৩৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত