আড়াই দিনেরও বেশি সময় ভেসে যাওয়ার পরও বাংলাদেশ টেস্টটা হেরেই বসল ভারতের কাছে। কানপুর টেস্টে ৭ উইকেটে হারের ফলে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।
তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল আর অপরপ্রান্তে অভিজ্ঞ বিরাট কোহলি ঠিকই ভারতকে নিয়ে গেলেন জয়ের বন্দরে। কানপুরের বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টে খেলা হলো সর্বসাকুল্যে আড়াই দিন।
ম্যাচের চিত্রনাট্য লেখা হয়ে গিয়েছিল গতকাল (সোমবার) কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনের পরেই। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩৫ ওভার ব্যাটিং করেই বাংলাদেশের ২৩৩ রান টপকে ৫২ রানের লিড নিয়ে নেয় ভারত। মারকাটারি ব্যাটিংয়ের সুবাদে টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম ৫০, ১০, ১৫০, ২০০ এবং ২৮৫ রানের বিশ্বরেকর্ড নিজেদের করে নেয় ভারত। শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে ২৬ রানেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
৫ম দিনের সকালে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল যতটা সময় ব্যাট করে যাওয়া। ম্যাচে হারের বদলে ড্র আনতে চেয়েছিলেন টাইগার ব্যাটাররা। কিন্তু, ভাগ্যটাই যে বাংলাদেশের পক্ষে নেই। এর আগে ২০২১ সালে পাকিস্তান এবং ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্ট হেরেছিল বাংলাদেশ। ৫ম দিনে সেটারই চিত্রনাট্য টাইগাররা লিখেছে আরেকবার।
দিনের তৃতীয় ওভারে মুমিনুল হকের উইকেট বাদ দিলে প্রথম ১৫ ওভার বাংলাদেশ খেলেছিল বেশ ভালোই। ওপেনার সাদমান ইসলাম এবং নাজমুল হোসেন শান্ত দুজন মিলে গড়েছিলেন ৫৫ রানের জুটি। ভারতের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশি ওপেনার হিসেবে ফিফটিও পেয়ে যান সাদমান। তবে সাদমানের ফিফটির ঠিক আগেই বাংলাদেশের ইনিংসে আসে ধাক্কা। রবীন্দ্র জাদেজাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে বল পাননি শান্ত। বল আঘাত করে স্ট্যাম্পে। ৯১ রানে বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটের পতন।
এখান থেকেই বাংলাদেশের ধসের শুরু। ৯১ রানে ২ উইকেট থেকে বাংলাদেশের স্কোর হয় ৯৪ রানে ৭ উইকেট। মাঝে ৩ রান তুলতেই নেই ৫ উইকেট। আকাশ দীপের বলে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে শট খেলতে গিয়ে জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ দেন সাদমান। লিটন এসেছিলেন।
১ রানের বেশি করা হয়নি তারও। জাদেজার লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা দিতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে ঋষভ পান্তের হাতে। এই বিপর্যয়ের শেষ উইকেট সাকিব আল হাসানের। ২ বলে শূন্য করে ফেরেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।
জাসপ্রিত বুমরাহর গুড লেংথ বলটিতে মিরাজের ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে উইকেটকিপার পান্তের গ্লাভসে। বাংলাদেশের ইনিংসে ৮ উইকেটের পতন। খানিক পরে তাইজুলও ফিরে যান সেই বুমরাহর বলে। এবারের আউট এলবিডব্লিউ।
শেষ উইকেটে খালেদ আহমেদের সঙ্গে অনেকটা সংগ্রাম চালিয়ে যান মুশফিকুর রহিম। তবে লাভের লাভ খুব একটা হয়নি। দলীয় ১৪৬ রানে বুমরাহর ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড হলেন মুশফিক। বাংলাদেশের লিড তখন মোটে ৯৪।