পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার জীরবাড়ি গ্রামে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর হোসেন(৫০)এর বিরুদ্ধে গত ১২ই জানুয়ারি রোজ শুক্রবার নেছারাবাদ থানায় নারি শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে মেয়ের বাবা।
জানা যায়, উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের জীরবাড়ি গ্রামে ৬নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঐ গ্রামের জাহারুল ইসলামের বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েকে ধর্ষন করে প্রতিবেশী লম্পট জাহাঙ্গীর। তার একাধিক বৌ রয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে জাহারুল ইসলাম মেয়ের বাবা জানান, জাহাঙ্গীরের আমাদের বাসায় আসা যাওয়া করতো। কখনো তেমন কিছু চোখে পড়ে নাই। একদিন আমরা বাসায় কেউ ছিলাম না শুধু মেয়ে ছাড়া। আমরা না থাকার সুযোগ নিয়েছে লম্পট জাহাঙ্গীর। আমি আমার কাজে গিয়েছিলাম এবং ওর মা পাশের বাড়ি খাবার পানি আনতে গিয়েছিলো, ঐ সময়টায় আমার মেয়ের সর্বনাশ করে জাহাঙ্গীর এমনটাই আকার ইঙ্গিতে জানায় আমার বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে।
আমার স্ত্রী জানায়, কাঠি দিয়ে টেস্ট করার পরে জানা গেছে মেয়ে প্রেগন্যান্ট। যখন আমি জানতে পারলাম মেয়ে প্রেগনেন্ট। তখন মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাই এবং পরীক্ষা করেও তার সত্যতা পাওয়া গেছে এবং ওর গর্ভের বয়স ৬ মাস। তখন আমি বিষয়টি এলাকার বাবুল মেম্বারকে অবহিত করি এবং তার পরামর্শে থানায় গিয়ে জাহাঙ্গীর এর নামে মামলা দায়ের করি৷ আমি এর সঠিক বিচার চাই, যে আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে সর্বনাশ করতে পারে তাকে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
এ বিষয়ে ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার বাবুল বলেন,জাহাঙ্গীরের বাড়ি ঢাকা কেরানিগঞ্জ কাজের সুবাদে সে এখানে আসে এবং বিয়ে করে এখানেই বসবাস শুরু করে ।ঢাকা কেরানীগঞ্জে তার বৌ রয়েছে বলে জানা যায় । নির্বাচনের পরের দিন জাহারুল আমাকে এই ঘটনা খুলে বলে। তখন আমি জাহাঙ্গীরকে ডেকে জিগ্যেস করি প্রথমে অস্বীকার করে। জাহাঙ্গীর যখন কত মাস? প্রেগন্যান্ট জিজ্ঞেস করলে তখন আমার সন্দেহ হয়। তখন আমি ওকে থানার ভয় দেখাইলে সব স্বীকার করে এবং স্থানীয় মজিবর প্রফেসারের কাছে সব কিছু স্বীকার করে এবং বলে আমাকে বাঁচান আমি ভুল করেছি। সুচতুর জাহাঙ্গীর ঐ রাত্রেই আত্মগোপন করে। তার পর থেকে আর তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। আমি জাহারুলকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি। সে থানায় গিয়ে জাহাঙ্গীরের নাম মামলা দিয়েছে৷
এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম সরোয়ার জানান, প্রতিবন্ধী মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে নারি শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মেয়েটিকে পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছ।