নেছারাবাদল জুলুহার গ্রামে চাঁদা না পেয়ে প্রতিবেশির বসতঘরে আগুন দিয়ে ভস্মিভূত করার অভিযোগে তিনজনকে নামিয় আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সমেদকাঠি ইউনিয়নের জুলুহার গ্রামে ওই ঘটনা ঘটার পর রোববার রাতে থানায় মামলাটি হয়েছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ বিমল বেপারি স্ত্রী রিনা বেপারি বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইলিয়াস নামে একজনকে গ্রেফতার করে সোমবার সকালে পিরোজপুর কোর্টে পাঠিয়েছে। মামলার অপর আসামীরা হল, চিন্ময় রায়(৪০), শুভ মৃধা(৩৫)। এই ঘটনায় পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পক্ষ থেকে অনুদান পাঠানো হয়েছে। নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন এবং অনুদান পৌঁছে দেন।
মামলার বাদী রিনা বেপারী অভিযোগ করেন, শনিবার দিবাগত রাত আটটার দিকে সন্ত্রাসীরা তাদের বাড়ী আসে। এসময় রিনার স্বামী বাড়ীতে ছিলনা। সন্ত্রাসীরা তাদের কাছে ত্রিশ হাজার টাকা চাদা দাবি করে। চাদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এভাবে তারা মধ্য রাত পর্যন্ত বাড়ীর সামনে বসে টাকা চাইছিল এবং গালিগালাজ করছিল। একপর্যায় তারা টাকা না পেয়ে বাড়ীতে গৃহপালিত হাসমুরগীর খামারে ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে ঘরের পাশে রাখা পাটখড়িতে তারা আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ডাকচিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যায়। মুহুর্তেই তাদের দেয়া আগুন ঘরের মধ্য ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে বসতঘর সহ ঘরের মধ্য রাখা সব কিছু ছাই হয়ে যায়। এতে তাদের আনুমানিক ষোল লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ভুক্তভোগী বিমল কৃষ্ণ বেপারী বলেন, আসামীরা তাদের একই এলাকার লোক। তারা এলাকায় গায়ের জোরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়। চাদাবাজি করে বেড়ায়। তারা বেশ কিছুদিন যাবত বিমল বেপারির কাছে ত্রিশ হাজার টকা চাদা দাবি করে আসছিল। তাদের চাহিদামাফিক চাদা দিতে না পারায় মধ্যরাতে বসত আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমি তাদের সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম জানান, "আমরা ঘটনাস্থলে পৌছার পূর্বেই আগুন নিভে যায়। তাৎক্ষনিক ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়নি"।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার ওসি তদন্ত এইচ,এম শাহীন জানান, "এ ঘটনায় রিনা বেপারি বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামী ইলিয়াস হোসেনকে গ্রেফতার করে সোমবার সকালে পিরোজপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে"।