গাজীপুরের শ্রীপুরে কন্দাল ফসল উৎপাদন প্রদর্শনী প্রকল্পের আওতায় কৃষকের আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা, মাওনা, তেলিহাটি, প্রহলাদপুর এলাকার কৃষকেরা জমি থেকে আলু তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।কেউ আবার বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সন্তোষজনক ফলন পাওয়ায় কৃষকদের আলু চাষে আগ্রহও অনেক বেড়েছে।
উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের কৃষক রাকিবুল হাসান জানান, অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষি উপকরণ সুলভমূল্যে পাওয়ায় এবার ফলন ভালো হয়েছে এবং ন্যায্যমূল্য পেলে লাভ করা যাবে। তাছাড়া মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ মেনে চলায় শীত ও ঘনকুয়াশায়ও আলু ক্ষেতের কোনরকম ক্ষতি হয়নি। জমিতে সঠিক মাত্রার সুষম সার প্রয়োগ করায় এবারে ফলন বেশি হয়েছে।
তেলিহাটি ইউনিয়নের চাষি আব্দুল মোতালেব জানান, এক বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন। মাত্র ৮০ থেক ৯০ দিন পরেই জমি থেকে নতুন আলু তুলতে শুরু করেছি। আলুর ফলন ও দাম আশানুরুপ পেয়েছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় আলু ক্ষেতে তেমন রোগ বালাই না ধরায় কীটনাশক স্প্রে করতে হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বন্যা বলেন, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পে চারটি প্রদর্শনী স্থাপন করেছি। চারটি প্রদর্শনীতে ফলন খুব ভালো হয়েছে। আমরা ২০ শতাংশের জমিতে প্রদর্শনী করে থাকি। ২০ শতাংশ জমির প্রদর্শনীতে ৪০ থেকে ৪৫ মন আলু উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদেরকে পরামর্শ প্রদান করছে।আলু চাষ বাড়ানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে শ্রীপুর উপজেলায় দিনের পর দিন আলুর উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।