কক্সবাজারের পেকুয়ায় ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে সাত ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের চরম ভোগান্তি বিরাজ করছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে কিছুটা বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকলেও ভোগান্তিতে চরম পর্যায়ে অন্য ছয় ইউনিয়নের মানুষ। শতভাগ বিদ্যুতায়নের এ অঞ্চলে অতিষ্ঠ গরমে ২৪ ঘন্টায় গড়ে পাঁচ-ছয় ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যায়না। এমনকি ইফতার, তারাবীহ ও সেহেরির সময়েও অতিমাত্রায় লোডশেডিং।
সিয়াম সাধনার পবিত্র মাহে রমজান মাসেও থেমে নেই পল্লী বিদ্যুতের বিরক্তিকর লোডশেডিং। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন । তীব্র লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ করে তুলছে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের। গেল এক সপ্তাহ ধরে এই উপজেলায় তুমুল সমালোচনার মুখে পল্লী বিদ্যুৎ।
এই বিষয়ে সচেতন মহলের দাবি পেকুয়া সদর ছাড়া অন্যন্য ইউনিয়নে বিদ্যুৎ থাকেনা বেশির ভাগ সময়। উপজেলায় সর্বমোট গ্রাহক সদস্য ৪৫ হাজার থাকলেও বিদ্যুৎ পাচ্ছে দুই হাজারের মত সদস্য।
এই বিষয়ে উপজেলার উজানটিয়া ইউপি'র চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিং এর যন্ত্রণায় অসহ্য কষ্ট পাচ্ছি। লোডশেডিং সমস্যা দেশব্যাপি আছে তবে, রমজান মাসে একটু ভালো সার্ভিস দেওয়া দরকার ছিলো।
এই বিষয়ে জানতে পেকুয়া পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অপিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী দীপন চৌধুরী জানান, দিনের বেলায় পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে প্রয়োজন ১০ মেগাওয়াট কিন্তু বরাদ্দ পাওয়া যায় ৪ মেগাওয়াট। আর রাতের বেলায় পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন ১৩ মেগাওয়াট। বরাদ্দ পাওয়া যায় ৫ হতে ৬ মেগাওয়াটের মত।
এ প্রসঙ্গে পেকুয়া সহকারী জোনাল ম্যানেজার দীপন চৌধুরী আরো জানান, পেকুয়ায় ২৪ ঘন্টায় গড়ে ২২ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কারণ, উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র পেকুয়ায় সমস্ত সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং বিভিন্ন ব্যাংকসহ উপজেলা আইন শৃংখলার জরুরী কার্যক্রমের ওপর গুরুত্বারোপ করা এবং মানুষের স্বাস্থ্য-চিকিৎসা নিরাপত্তার এমন কিছু প্রয়োজনীয় মেডিসিন এবং ইনজেকশন আছে যে গুলো ফ্রিজে রাখতে হয়।