কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এবারও মিলল রেকর্ড পরিমাণ টাকা। মসজিদটির ৯টি দানবাক্সে ২৭ বস্তায় টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা।
এই টাকা গণনা করতে প্রায় আড়াইশো মানুষের সময় লেগেছে ১৮ ঘণ্টা। নগদ টাকা ছাড়াও পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেছে স্বর্ণালংকারসহ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা।
গত শনিবার সকাল ৭টায় মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। টাকা গণনা করার জন্য মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং রুপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মো.আবুল কালাম আজাদ জানান, মূলত ৩ মাস অন্তর অন্তর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার পবিত্র রমজান মাসের জন্য ৪ মাস ১০ দিন পর বাক্সগুলো খোলা হয়।
প্রশাসন ও মসজিদ কমিটি জানায়, আগে আটটি দানবাক্স ছিল, কিন্তু আগের থেকে দানের টাকা বৃদ্ধি পাওয়াতে আরেকটি দানবাক্স বাড়ানো হয়। ফলে মসজিদে দানবাক্সের সংখ্যা এখন ৯টি। এর আগে ২০২৩ সালের ১৯শে আগস্ট মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হলে রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল ।
এলাকাবাসি, মসজিদের খতিব ও লোকমুখে শোনা যায়, এই মসজিদে দান বা মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয় এমন ধারণা থেকেই সকল ধর্মের লোকেরাই মসজিদটিতে দান বা মানত করে থাকেন।
কিশোরগঞ্জের পৌর শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকায় নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে উঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল। তার মূত্যুর পর জায়গাটি পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে এলাকাবাসী। মসজিদটিতে টাকা পয়সা, সোনা রুপার পাশাপাশি হাস-মুরগি, গরু-ছাগল, বৈদেশিক মুদ্রাও দান করেন অনেকে।