নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর রেলস্টেশন এলাকায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে নিহত ওই আওয়ামী লীগ নেতাও এক হত্যা মামলার আসামি।
স্থানীয় হাট-বাজার ইজারা, খালে মাছ, চাষ, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয়ে তার মতবিরোধ ও দন্দ্ব চলছিল প্রতিপক্ষদের সঙ্গে। ওই বিষয়ে নিহতর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। নিহত মুঞ্জুরুল ইসলাম মুঞ্জু (৪৫) ওই উপজেলার বাহাদীপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি।
নর্থবেঙ্গল সুগারমিলের স্টাফ ও ওই মিলের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। স্থানীয় ও নিহতর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সাড়ে ১০ টার দিকে গেপালপুর আজিমনগর রেলস্টেশনে রবিউল ইসলামের কনফেকশনারি দোকানের সামনে অবস্থান করছিলেন মঞ্জু। হঠাৎ ২-৩টি মোটরসাইকেলে কয়েকজন যুবক মঞ্জুর মাথায এবং পেটে গুলি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অধিবাসী ও একাধিক আ'লীগ নেতা জানান, বর্তমান সাংসদ আবুল কালাম আজাদ, এবং সাবেক সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুলের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। ২০১৮ সালে এমপি ছিলেন বকুল। সেই সময়ে লালপুর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিরুল ইসলাম ছিলেন বকুল অনুসারী। অপরদিকে মঞ্জু এবং তার ছোট ভাই মোশতাক ছিলেন আবুল কালাম আজাদ অনুসারী। ওই সময় স্থানীয় খালের দখল, টেন্ডারসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাহিরুলদের সঙ্গে মোশতাক-মঞ্জুদের দ্বন্দ্ব হয়।
২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর নাটোরের নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস গেটে জাহিরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। ওই মামলায়,আসামি ছিলেন মঞ্জু। কিছুদিন পর মোশতাক বকুল গ্রুপেযোগ দিলেও মঞ্জু কালাম গ্রুপেই থেকে যান। এরপর থেকে বকুল গ্রুপের তুমন ওরফে শুটার তুমন ও মোশতাক স্থানীয়,খাল ছাড়াও হাটবাজার ইজারা নেওয়া সহ নানা সুবিধা ভোগ করতেন।এবন!বব!!!গত জাতীয় নির্বাচনে আবুল কালাম আজাদ এমপি নিড়বাচিত হলে মঞ্জু সক্রিয় হন।একই সঙ্গে তুমনের সঙ্গে মোশতাকের নানা বিষয়ে দ্বন্দ্ব ও দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি গোপালপুর হাট ইজারা নেওয়াকে কেন্দ্র করে তুমনের সঙ্গে মেশতাক-মঞ্জুদের দ্বন্দ্ব হয়। এছাড়া স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারসহ নানা কারণে মঞ্জুর অনেকের সাথেই দ্বন্দ্ব ছিল। তবে কি কারণে মঞ্জুকে হত্যা করা হলো তা রহস্যজনক।লালপুর থানার ওসি নাসিম আহমেদ জানান,মঞ্জুর মরদেহ বুধবার ময়না তদন্তের জন্য নাটোর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। ওই ঘটনায় নিহতর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। দ্রুতই মঞ্জু হত্যাকারীরা গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ঘটনার রহস্য উন্মোচন হবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।