পুরোপুরি ডাচদের হাতে থাকা ম্যাচে ১৬তম ওভারে বোলিংয়ে এসে কাটার মাস্টার ফিজ যেনো একাই ম্যাচটা ঘুরিয়ে দিলেন। মুস্তাফিজের কৃপণ স্পেলে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৪ রান তুলতে পারে নেদারল্যান্ডস। ফলে ৩৫ রানের দারুণ জয়ে সুপার এইটে এক পা দিয়ে রাখলো বাংলাদেশ।
কিংসটনে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪ রান করেন সাকিব। তাছাড়া ৩৫ রান এসেছে তানজিদ তামিমের ব্যাট থেকে। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস।
'ডি' গ্রুপ থেকে ইতোমধ্যেই ছিটকে গেছে শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে সুপার এইটে কোয়ালিফাই করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তলানিতে থাকা নেপালের দৌড়ও কার্যত গ্রুপ পর্বেই শেষ হচ্ছে। তাই সুপার এইটের লড়াইয়ে বাংলাদেশের পথে কাঁটা হয়ে ছিল নেদারল্যান্ডস। এবার মুখোমুখি লড়াইয়ে ডাচদের ২৫ রানে হারালো টাইগাররা।
রিশাদের জোড়া আঘাতের পর সাকিবের ওভারে মাত্র ৫ রান নিয়েছিল ডাচরা। এরপর ডেথ ওভারে এসে ডাচদের ভোগান মোস্তাফিজ। তার বলে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে থার্ডম্যানে ধরা পড়েন স্কট এডওয়ার্ডস। এই ওভার থেকে আসে মাত্র ১ রান।
শেষ ১২ বলে ৩৬ রান দরকার ছিল ডাচদের। তবে ৯ রানের বেশি নিতে পারেননি তারা। এতে ২৫ রানের জয়ে সুপার এইটে এক পা দিয়ে রাখলো বাংলাদেশ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ২৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে তানজিদ তামিম ও সাকিব আল হাসানের দারুণ ব্যাটিংয়ে শুরুর বিপর্যয় সামলে উঠছিল তারা।
এর মধ্যেই নিজের উইকেট যেন অনায়াসে দিয়ে ফেরেন তামিম! লেংথ থেকে কাঁধ পর্যন্ত লাফিয়ে ওঠা বলটা পুল করে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে বাস ডি লিডকে ক্যাচ দেন এ বাঁহাতি ওপেনার।
দলীয় ৭১ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ভাঙে ৩২ বলে ৪৮ রানের জুটি। ৫টি চার ও একটি ছক্কায় তামিম খেলেছেন ২৬ বলে ৩৫ রানের ইনিংস।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৪৬ বলে ৯টি চারে ৬৪ রান করেন সাকিব। ১৩ তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি করে সাকিব পেরিয়ে গেছেন আড়াই হাজার রানও। ৭ বলে ১৪ রান আসে জাকের আলী অনিকের ব্যাট থেকে। ৫ উইকেটে বাংলাদেশ তোলে ১৫৯ রান।