সরাকারি কোন নির্দেশনা আসার আগেই নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মুছে ফেলা হলো সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নাম।
শুধু তাই নয়, একই সাথে মুছে ফেলা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক ভবন থেকে শেখ কামাল ও পাঠাগার থেকে শেখ রাসেলের নাম।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার আওয়াী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা আসার আগেই এভাবে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ কামাল এবং শেখ রাসেলের নাম মুছে ফেলার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটালীপাড়া উপজেলার তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্মিত শেখ রাসেল গাঠাগারের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয়টির প্রাঙ্গনে এক জনসভায় ভাষণ দেন।
চলতি বছরের ৫ আগষ্ট দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সাথে সাথে তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠাগার থেকে শেখ রাসেলের নামটি মুছে ফেলা হয়। একই সাথে পাঠাগারটির উদ্বোধনী ফলক থেকে মুছে ফেলা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম।
এছাড়াও বিদ্যালয়টির একাডেমিক ভবন থেকে শেখ কামালের নামটিও মুছে ফেলেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি স্থানীয় জনগণ ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মাঝে জানাজানি হলে উপজেলাব্যাপী আলোচনার ঝড় ওঠে।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাজরা বলেন, সরকারি কোন নির্দেশনা আসার আগেই আমাদের প্রিয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম মুছে ফেলায় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই। সাথে সাথে আমরা তদন্ত করে দেখব এই ঘটনার সাথে কারা কারা জড়িত।
জড়িত ব্যক্তিরা যদি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা বলেন, যেহেতু বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস। সেহেতু কোনভাবেই তিনি এ ঘটনার দায় এড়াতে পারেননা। আমি সাংগঠনিক ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক পরিমল বিশ্বাস বলেন, কে বা কাহারা বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল পাঠাগার থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রাসেল ও একাডেমিক ভবন থেকে শেখ কামালের নাম মুছে ফেলেছে তা আমাদের জানা নেই।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, আমাদের নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ এলাকায় এই ঘটনায় আমরা লজ্জিত। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সাংগঠনিকভাবে পরবর্তি পদক্ষেপ নিবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনুর আক্তার বলেন, আমরা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম মুছে ফেলার কোন নির্দেশনা এখন পর্যন্ত পাইনি। যদি কেউ কোন প্রতিষ্ঠান থেকে শেখ হাসিনার নাম মুছে ফেলে সেটা একান্তই তাদের বিষয়।