মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে জোরপূর্বক দখল করতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে বিরোধপূর্ণ ওই জমিটি দখল করতে এলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার বাধায় পণ্ড হয়।
গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের বাঘুলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সিঙ্গাইর থানাধীন শান্তিপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ করতে যান। অভিযোগ না নিয়ে তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এবিষয়ে আদালতে মামলা করতে বলেছেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বাঘুলী গ্রামের চাঁন মিয়া তার বাড়ির পাশের আরএস ১৫৭৫ খতিয়ানের ১৯ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছে। একই গ্রামের আব্দুর রহমান জমিটির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে।
এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আব্দুর রহমান গং ভারাটে লোকজন নিয়ে জমিটি অবৈধ ভাবে দখল করার চেষ্টা করে। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা বাধাঁ দেয়। এসময় কয়েকজন ছাত্র মারধরের শিকার হন। এক পর্যায়ে ছাত্র জনতার বাধায় তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
এদিকে জমিটি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে গত সোমবার রাতে ৮/১০ জন লোক লাঠিসোঁটা ও দা-বটি নিয়ে চাঁন মিয়ার বাড়িতে হামলা করতে আসে। পরে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করেন। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বটি উদ্ধার করেন। পরে আব্দুর রহমানের লোকজন প্রতিপক্ষ চাঁন মিয়া ও তার ছেলেকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ভুক্তভোগী চান মিয়া বলেন, প্রতিপক্ষ আব্দুর রহমানসহ ১০-১২ জন দা-বঁটি, লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা করতে আসে। তারা আমার ছেলে আলী হোসেন, ভাতিজা সাকিব ও আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এর আগেও আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
এঘটনায় শান্তিপুর তদন্ত কেন্দ্রে গেলে থানায় যেতে বলেন। থানায় গেলে অভিযোগ না নিয়ে আমাদের কোর্টে মামলা করতে বলেন। জমি নিয়ে আদলতে প্রতিপক্ষের সাথে আমাদের মামলা চলমান আছে।
স্থানীয় খালেক মোল্লা বলেন, আমার স্ত্রী রাস্তায় দাঁড়িয়ে তার ভাইয়ের সাথে প্রবাসে কথা বলছিলো। আব্দুর রহমানের বাড়ির ঐদিক থেকে হঠাৎ কয়েকটা ঢিল এসে পড়ে তার সামনে। রহমান এগিয়ে আসলে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে অস্বীকার করে। কিছুক্ষন পরই ১০-১২ জন লাঠি ও বঁটি নিয়ে এগিয়ে আসে। দীর্ঘদিন ধরেই জায়গা নিয়ে চান মিয়ার সাথে বিরোধ চলছে তাদের। যেকোনো সময় অনাকাক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।
অভিযুক্ত আব্দুর রহমান ও শিউলি বেগম বলেন, প্রাণনাষের বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা। মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
সিঙ্গাইর থানার আওতাধীন শান্তিরপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মামুনুর রশীদ বলেন, জমিসংক্রান্ত কোন অভিযোগ এখন নেওয়া হচ্ছে না। এ ধরনের কোন অভিযোগ থাকলে সবাইকে আদালতে যেতে বলা হয়েছে।