ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় হত্যা মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি হালিম মিয়াকে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ছয় পুলিশ সদস্য। উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- নবীনগর থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবির, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সামিম ভূঁইয়া, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রমজান চৌধুরী, মো. আবদুর রশিদ, আবুল কালাম ও বিল্লাল হোসেন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। আসামি হালিম মিয়া রতনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, হালিম মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও পুলিশ আহত করার ঘটনায় মামলা আছে। এছাড়াও তিনি স্থানীয় এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলার আসামি। রবিবারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, হালিম মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় ওসি মো. হুমায়ূন কবির ১২ সদস্যের দল নিয়ে খাগাতুয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে হামিল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। পুলিশের ভ্যানে উঠানোর সময় হালিমের লোকজন পেছন থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ওসি মো. হুমায়ূন কবিরের বাঁ হাতের কবজিতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যান হালিম।
ওসি হুমায়ূন কবির বলেন, হালিমের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তাকে গ্রেপ্তার করে ভ্যানে তোলার সময় পেছন থেকে তার লোকজন হামলা চালায়। হালিম অনেক শক্তিশালী হওয়ায় আমার হাতের কবজিতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়।