মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন দেবে। তার আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো তারা করবে। কিন্তু একটি দল এ বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন চান। যারা নির্বাচনের জন্য তাড়াহুড়ো করে তাদের ইতিহাস ও বর্তমান কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের মানুষ জানে।
তিনি বলেন, জুলাই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়ে অনেকেই এখনো হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। অনেক ছেলে অন্ধ হয়ে গেছে। তাই আগে সংস্কার করতে হবে। কিন্তু ইদানীং বিচার ও সংস্কারের চেয়ে নির্বাচনের কথা বেশি শুনি। সরকারের পক্ষ থেকে তো বলা হয়েছে, জুনের মধ্যে নির্বাচন, তাহলে এত তাড়াহুড়ো কেন?
আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) ঠাকুরগাঁও জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে শহরের আর্টগ্যালারি ৭১ অপরাজয় মাঠে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন বাতিল ও ইসলামভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুগ্ধর সেই পানি পানি শব্দ এখনও আমাদের কানে ভাসছে। রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। শত শত মানুষ চোখ হারিয়েছে, পঙ্গুত্ববরণ করেছে। তখন ইসলামী আন্দোলনসহ সহযোগী সংগঠনগুলো দেশের নিরাপত্তা ও সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব পালন করেছি।
সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আক্ষেপ করে বলেছেন, আমি তো এই লাইনে নতুন, ৫ আগস্টের পরে দেশে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে কাজ করতে পারছি না। তাই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা বলেছি, আপনি কাজ করেন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি। শুধু আমরা নই, দেশের মানুষও আপনার সঙ্গে আছে। তাই যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন লাভ নেই।