ডিএমপির অভিযানে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সাবেক সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আটজন নেতাকে গ্রেফতার করেছে। ডিবি ও থানা পুলিশের সমন্বিত পৃথক অভিযানে শনিবার (২২ জুন) রাত ৮ টা থেকে রবিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা (৭৯), মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব (৫৫), ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য মো. তরিকুল ইসলাম (৩৮), সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন (৪৬), ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক এমডি মনিরুল মওলা (৬২), ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহায়াব (৫৮), ২৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবু (৪৩), ৯২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক জাকির হোসেন আলী (৬১)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২২ জুন ২০২৫ খ্রি.) রাত আনুমানিক ৮:২৫ ঘটিকায় উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কে এম নুরুল হুদাকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। তেজগাঁও থানার মনিপুরীপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবকে গ্রেফতার করে ডিবি-লালবাগ জোনাল টিম।
অন্যদিকে, রাত ১২:৩০ ঘটিকায় কদমতলী থানাধীন শনির আখড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো: তরিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ডিবি-মতিঝিল বিভাগের মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার টিম। ভোররাতে ৪:৪৫ ঘটিকায় নবাবগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেফতার করে ডিবি-ওয়ারী বিভাগ।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মনিরুল মওলাকে দুদকের মামলায় গ্রেফতার করে ডিবি-ওয়ারী বিভাগ। রাত ১২:৪৫ ঘটিকায় কলাবাগান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল ওহায়াব ও রাত ২:০০ ঘটিকায় মেহেদী হাসান বাবুকে গ্রেফতার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগ। রাত ১:৩০ ঘটিকায় পল্লবী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাকির হোসেন আলীকে গ্রেফতার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগ।
গ্রেফতার হওয়া প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।